বাঙালি ও মুসলিম-এ দু’টি পরিচয়ের মাঝে কি কোনো দ্বন্দ্ব আছে? প্রশ্নটির একাধিক জবাব থাকতে পারে। হ্যাঁ বা না, অথবা অন্য কিছু। সাধারণত বাংলাদেশের আলেম সমাজ কখনোই একে দ্বন্দ্ব বা বিতর্ক আকারে দেখেন না; বরং কুতর্ক মনে করেন। অন্যদিকে বুদ্ধিজীবী সমাজ এটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক মনে করেন। তাঁদের কেউ কেউ মনে করেন, এটাই বাংলাদেশের প্রধান বিতর্কের বিষয় হওয়া উচিত। মোটা দাগে, প্রায় সব বুদ্ধিজীবীই মনে করেন, বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের মাঝে একটি বিশাল দ্বন্দ্ব বিরাজমান। এ ধরণের বিতর্কে আলেম সমাজ সময় অপচয় না করার কারণ হল, তাঁদেরকে ধর্মীয় বিধানাবলি বিশ্লেষণে ব্যস্ত থাকতে হয় এবং মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দিতে হয়।যেখানে বুদ্ধিজীবী-সমাজ এসবের ধার ধারে না, তাই তাঁদেরকে বাঙালি-মুসলিম বিতর্কে প্রাণ সঞ্চারণ করেই জীবন চালাতে হয়।
ধরা যাক, বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব আছে; তাহলে সে দ্বন্দ্বটা কি? কোত্থেকে তার উৎপত্তি? আর কে-ই বা করেছে এর বিস্তার? – এ সব বুঝতে স্বভাবতই মুসলিম ও বাঙালি শব্দ দু’টির তাৎপর্য ও বিশ্লেষণে যেতে হবে।
মুসলিম শব্দটির সংজ্ঞা নিয়ে আলেম সমাজে তেমন কোনো মতপার্থক্য দেখা যায় না। কারণ, রাসূল (সা.) নিজেই মুসলিমের পরিচয় প্রদান করে গেছেন। কিন্তু বাঙালি শব্দের সংজ্ঞা নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের মাঝে মতপার্থক্য বিদ্যমান। কেউ কখনো অন্য কারো সংজ্ঞা গ্রহণ করেননি। বিশেষ করে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ নিজেদের সম্পর্কে এমন সব অশালীন মন্তব্য করেছেন, যা মুখে আনা সভ্য সমাজের কাজ নয়। বাঙালিদের সম্পর্কে যারা কিছুটা ভালো ধারণা পোষণ করেন, তাঁরা ‘বাঙালি’ শব্দের পরিচয় প্রদান করতে গিয়ে বোধয় খানিকটা বিপদেই পড়েন। কিসের ভিত্তিতে হবে বাঙালির পরিচয়? ভাষার ভিত্তিতে না সংস্কৃতি বিচারে? ভূখণ্ডের ভিত্তিতে নাকি পৈত্রিক সূত্রে?
যদি ভাষার বিচারে বাঙালি তার পরিচয় গ্রহণ করে, তখন ইংলিশ মিডিয়ামের হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে যারা এ দেশে বাস করে কিন্তু মোটেও বাংলা বলতে পারে না, তাদের পরিচয় হবে কী? যদি সংস্কৃতির ভিত্তিতে বাঙালি তার পরিচয় ধারণ করতে চায়, তখন এক বিরাট প্রশ্ন দেখা দেবে- বাঙালি সংস্কৃতি আসলে কী? ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় এখানের মানুষেরা আদিতে দ্রাবিড় জাতি গোষ্ঠির ছিল, এরপর এখানে আর্যরা (ইউরোপীয় অরিজিন) এল দখলদারিত্বে। এই দুই গোষ্ঠির মধ্যে আদান প্রদান ঘটল। ধর্মের দিক থেকে এখানে বৌদ্ধরা ছিল আদিতে,তারপর আর্যদের ধর্ম (যা এখন হিন্দু-সনতান ধর্ম হিসেবে আছে),এরপর মুসলিম এবং সর্বশেষ খ্রিস্টানরা এল। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু তাদের সংস্কৃতির আমদানি ঘটিয়েছেন। তাহলে কোন সংস্কৃতিকে এখন বাঙালি সংস্কৃতি বলা হবে? হিন্দু, বৌদ্ধ না খ্রিস্টান সংস্কৃতিকে? যদি মনে করি, আদি অনার্যদের সংস্কৃতিই হবে বাঙালিদের সংস্কৃতি, তখন পহেলা বৈশাখ জাতীয় সব অনুষ্ঠান আর আচার-আচরণই অবৈধ হয়ে যাবে। কারণ এগুলো আদি অনার্যদের সময়ে ছিল না। আর যদি মনে করি, বাঙালি সংস্কৃতি নদীর মতোই বহমান, তাহলে মুসলিমদের সংস্কৃতিকে বাঙালি সংস্কৃতি হিসেবে গ্রহণ করতে আপত্তি কোথায়?
যদি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভিত্তিতে বাঙালিদের পরিচয় নির্ধারণ করা হয়, তখন কলকাতা সহ অন্য দেশের বাঙালিরা যাবে কোথায়? কী হবে তাদের পরিচয়? অথচ জাতীয়তার তারা ভারতীয় কিন্তু আদতে তারা তো নিজেদের বলে আসল বাঙালি, আর আমাদের বলে নকল বাঙালি বা বাঙাল (গালি অর্থে)। তারপর আসা যাক পৈত্রিক সূত্রের কথা। যে সব বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে বিয়ে করে বাংলাদেশেই বসবাস করছে, তাদের ছেলে-মেয়েরা কি বাঙালি নন? সুতরাং দেখা যায়, ‘বাঙালি’ শব্দের সংজ্ঞা নির্ধারনে হরেক রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাহলে কি বলা যায় বাঙালিরা পরিচয় হীন? –এ প্রশ্নের জবাব দেয়া কঠিন। আমরা সে দিকে যেতে চাই না। আমরা শুধু বুঝতে চাই- কেন বাঙালিরা তাদের পরিচয় নিয়ে এত হীনমন্যতায় ভোগে? কেন শাহবাগে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলতে হয়- ‘আমি কে, তুমি কে? বাঙালি, বাঙালি’-ধীরে ধীরে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে আমাদের বের করতে হবে।
ধরে নেয়া যাক, এ অঞ্চলে মুসলিম আছে, বাঙালি আছে, তাদের পরিচয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব আছে এবং সে দ্বন্দ্ব নিরসনেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু তারও আগে আমাদের জানা প্রয়োজন, সমাজে বা রাষ্ট্রে এ দ্বন্দ্ব আসলে কতটা বিস্তৃত? গ্রাম, উপজেলা কিংবা জেলা শহরের মানুষকে যদি প্রশ্ন করা হয়- আপনার পরিচয় কী? তিনি নিজের নাম ও বাবার নাম বলার পরপরই বলবেন, ‘ভাই, আমি মুসলমান’। অথবা বলবেন- ‘আমি হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান’। খুব কম মানুষই স্বাভাবিকভাবে বলবেন যে- ‘আমি বাঙালি’।
তাহলে এখন একটি প্রশ্ন এসে হাজির হয়- বাঙালি আসলে কারা? কারা এ পরিচয় বহন করেন? সম্ভবত দু’ধরণের মানুষ এ পরিচয়ের কথা জোর গলায় বলতে ভালোবাসেন। এক হচ্ছে পাহাড়ের দখলদার, দুই হচ্ছে চেতনার দখলদার। এদের মাঝে একটি চমৎকার মিল আছে। পাহাড়ে যারা বাঙালি, তারা পাহাড়ের অধিবাসীদের উচ্ছেদ করে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চান। আর চেতনায় যারা বাঙালি, তারা এ দেশের সকল ধর্মীয় ও নৈতিক চেতনার উচ্ছেদ ঘটিয়ে স্যাকুলার চেতনার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চান। তবে এই দু’ধরণের বাঙালির মাঝে একটি পার্থক্যও আছে। পাহাড়ের বাঙালিদের সাথে মুসলিম পরিচয়ের দ্বন্দ্ব নেই; দ্বন্দ্ব পাহাড়িদের সাথে এবং এ দ্বন্দ্ব সংকীর্ণ ও সুস্পষ্ট। কিন্তু চেতনায় বাঙালিদের দ্বন্দ্ব সরাসরি মুসলিম পরিচয়ের সাথে এবং এ দ্বন্দ্ব জটিল ও অস্পষ্ট।
আলোচনার খাতিরে আবারো ধরে নেয়া যাক, যারা স্যাকুলার চেতনায় বিশ্বাসী তারা কেবল বাঙালি, আর যারা ধর্মীয় চেতনায় বিশ্বাসী তারা মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান। প্রশ্ন হল- বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের মাঝে যেমন দ্বন্দ্ব আছে, বাঙালি ও হিন্দু পরিচয়ের মাঝেও কি ঠিক তেমন দ্বন্দ্ব আছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে ইতিহাসে যারা নিজেদেরকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতেন তাদের কাছ থেকে। উনিশ শতকের জনপ্রিয় হিন্দু উপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসে বলেন, ‘আজ বাঙালি ও মুসলমান ছেলেদের মাঝে ফুটবল খেলা চলিতেছে’; তখন সু-স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বাঙালি ও হিন্দুদের মাঝে আসলে কোনো পার্থক্য নেই বরং তারা উভয়ে এক। বিশেষ করে ঈশ্বরচন্দ্র বা বঙ্কিম পড়লে যে কারোই মনে হবে- “বাঙালি মানেই হিন্দু, আর হিন্দু মানেই বাঙালি; কোনো মুসলিম বাঙালি হতে পারে না।”
ফলে আমরা দেখতে পাই আমাদের বুদ্ধিজীবী অঙ্গনে বাঙালি-মুসলিম না মুসলিম-বাঙালি এসব নিয়ে তুমুল বিতর্ক থাকলেও বাঙালি-হিন্দু, বাঙালি-বৌদ্ধ কিংবা বাঙালি-খ্রিস্টান বলে কোনো বিতর্ক নেই। তাহলে দেখা যাচ্ছে বাঙালি পরিচয়ের সাথে কেবল মুসলিম পরিচয়েরই দ্বন্দ্ব; হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান পরিচয়ের সাথে বাঙালির কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমরা যদি এ অনুসিদ্ধান্তে চলে আসি, তাহলে আমাদের এও মেনে নিতে হবে যে, বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়গত দ্বন্দ্বের আড়ালে আসলে হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্বই চালু আছে যার শুরু হয়েছিল কলকাতার বাবু সমাজ কর্তৃক উনিশ শতকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের উথ্যানে।আমাদের বুদ্ধিজীবীরা আগের সূত্রটি ডামাডোল পিটিয়ে প্রচার করলেও পরের অনুসিদ্ধান্তটি লুকানোর চেষ্টা করেন, ক্ষেত্র বিশেষে চরমভাবে অস্বীকার করেন। তাঁদের এহেন বুদ্ধিজীবিতা কারনই বা কি?
আলোচনার খাতিরে আবারো ধরে নিচ্ছি- বাঙালি মানে হিন্দু সম্প্রদায় নয় বরং সাধারণ বাংলা ভাষাভাষী মানুষ। তাহলে প্রশ্ন জাগে, পৃথিবীর তো আরও নানা ভাষাভাষী মানুষ আছে, তারাও তো ইসলাম গ্রহণ করেছে; তাদের মাঝে কি ধর্ম ও ভাষার পরিচয় নিয়ে আমাদের মত কোনো দ্বন্দ্ব আছে? মনে হয় না। তারাও কি দেশের সকল সমস্যার সমাধান হিসাবে আমাদের মত আত্ম-পরিচয় অনুসন্ধান করেন? সম্ভবত না। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া কিংবা ইরানের মত রাষ্ট্রের দিকে নজর দিলে বিষয়গুলো সহজেই সুস্পষ্ট হয়ে উঠে। তাহলে বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের দ্বন্দ্বটা আসলে কোথায়? সবদিক থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করার পরেও কোনো দ্বন্দ্ব খুঁজে না পাওয়ার পিছনে দু’টি কারণ থাকতে পারে।
এক. হতে পারে, আমাদের বুদ্ধিজীবীরা বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের আসল দ্বন্দ্ব এখনো আবিষ্কার করেতে পারেননি কিংবা পারলেও বলার সাহস করেন না।
দুই. হতে পারে, বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের মাঝে কখনো কোনো দ্বন্দ্ব-ই ছিল না; বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের স্বার্থে এ বিতর্ক চালু রাখছে।
বুদ্ধিজীবীদের আলাপ আপাতত বাদ দিয়ে, এ প্রশ্ন নিয়ে আমরা আলেম সমাজের কাছে যাই। বলার চেষ্টা চলে যে, বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের দ্বন্দ্বটা আলেম সমাজ অনুধাবন করতে পারেন না। এই ধাঁধার উত্তরে বলা যায়, আলেম সমাজ বাস্তবে এ দেশের গণ-মানুষের ভাষা যতটা বোঝেন, ততটা বোঝেন না বুদ্ধিজীবীগণ। ফলে, আলেমদের সমাবেশে যত মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়, তার শত ভাগের এক ভাগও দেখা যায় না বুদ্ধিজীবীদের সমাবেশে। আলেম সমাজকেই মানুষ বেশি ভালোবাসেন; তাঁদের কাছেই জীবন-জিজ্ঞাসার সমাধান খোঁজেন। আমাদের সমাজে যে-সকল আলেম আছেন, তাঁদের নাম বা উপাধির প্রতি লক্ষ্য করলেই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যায়। অনেক আলেম-ই তাঁদের নিজেদের নামের সাথে সাথে জন্মভূমির নামও জুড়ে দেন। কখনো কখনো দেখা যায়, তাঁদের আসল নাম-ই বাদ পড়ে যায়; তাঁরা পরিচিত হন জন্মভূমির নামে। যেমন, বাংলাদেশের বিখ্যাত কিছু আলেমের নাম উল্লেখ করা যায়- মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, আব্দুল হাই পাহাড়পুরী, জুনায়েদ বাবুনগরী, নুরুল ইসলাম ওলীপুরি, তাফাজ্জল হক হবিগঞ্জি এবং আরও অনেক। এঁরা প্রত্যেকে জন্মভূমির নামে-ই অধিক পরিচিত; তাঁরা এ নাম-ই ভালোবাসেন।
তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে আলেম সমাজ কি বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের মাঝে কোনো দ্বন্দ্ব নেই বলে মনে করেন? এর উত্তর; হ্যাঁ বা না যাই হউক, এই কুতর্ক যে তাদের কাছে মুখ্য নয় সেটা বুঝতে জাতি-ভাষা-গোত্র বিষয়ে তাদের দলিলের দিকে নজর দেয়া যাক। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে- “হে মানুষ, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি; এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হতে পার” [সূরা হুজরাত: ১৩]। এ কারণে আলেম সমাজ জাতি-ভাষা-গোত্র বিষয়ে সদা সচেতন, এবং একজন মানুষের একাধিক পরিচিতি থাকার ব্যাপারে বুদ্ধিজীবিদের মত নেতিবাচক না হয়ে বরং ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন; কেননা, এটি আল্লাহর আদেশ।
এভাবে একের পর এক বিশ্লেষণ করলে হয়ত এই বিষয়ে প্রচলিত কুতর্কগুলোর একটা সলিল সমাধি করা সম্ভব কিন্তু এটা সময়ের অপচয় বলে প্রতিয়মান হয়। কেননা এই কুতর্কগুলোর রাজনৈতিক ফায়দা রয়েছে,যারা এর ফায়দাভোগী তারা কখনোই এই বিষয়ের সমাধান চাননা,দেখা যাবে নতুন নতুন আরো কুতর্ক নিয়ে হাজির হচ্ছেন।এমতবস্থায় অভিমতের জন্য একজন আলেমকে এ প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করলাম। তিনি একটি চমৎকার কথা বলে আপাতত আমায় সমাধান দিলেন; বললেন- “মুসলিমরা বাঙালি, অ-বাঙালি, ইরানি, তুরানি, ইংরেজ সবাইকে ধারণ করতে পারে; কিন্তু বাঙালি পরিচয় দেয়া মানুষেরা বড়ই প্রতিক্রিয়াশীল, তারা মুসলিমদের একটুও সহ্য করতে পারেন না।”
[নোটঃ আইএমবিডি ব্লগ সম্পাদক কর্তৃক লেখাটি সম্পাদিত]
উৎসঃ পাঠচক্র, মুল শিরোনামঃ বাঙালির সরল সমীকরণ
হ্যা,আসলেই এটা লেখকের জ্ঞানের চরম দৈন্যতা প্রমাণ করে।তার এই উক্তি দেশদ্রোহী। যেখানে পাহাড়িদের যন্ত্রণায় বাঙালিরা নিজ দেশে পরবাসী সেখানে এমন একটা তথ্য দেওয়া চরম ন্যাক্কারজনক।আপনি আপনার ঐ অংশটা এডিট করুন।