তিন শীর্ষস্থানীয় নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। দলের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর্যায়ে। অন্য নেতাদের মামলাও দ্রুত পরিণতির দিকে। পুরো দলই নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে। এ অবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং বিকল্প নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে ভাবনায় পড়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতিতে ‘ধীরে চলার’ কৌশল নিয়ে আগাতে চায় জামায়াত। গতকাল সোমবার দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে ‘ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যার প্রতিবাদে’ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি দিলেও তা আগের মতো সহিংস ছিল না। বস্তুত, রাস্তায় শক্তি না দেখানোর নীতিগত অবস্থান নিয়েছে জামায়াত। অবশ্য দলের এই অবস্থানের বিষয়ে দায়িত্বশীলদের কেউ নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর থেকে সহিংস প্রতিক্রিয়া জানানো শুরু করেছিল জামায়াত ও তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। বিশেষ করে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর অন্তত ২৮টি জেলায় ব্যাপক সহিংসতা চালানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির সভায় উপস্থাপিত হিসাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাত সদস্যসহ ১১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে তখন।
তবে এখন দলের নেতাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, রাজপথে শক্তির মহড়া দেখানোর ফল ভালো হয়নি। এতে শক্তি ক্ষয়ের পাশাপাশি জনগণের মধ্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তাই আগের মতো মারমুখী প্রতিক্রিয়া না দেখানোর ব্যাপারেই অধিকাংশের মত। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনে করে, জামায়াতের আগের শক্তি এখন নেই। নাশকতার মামলায় অনেকেই কারাগারে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও দলের আইনজীবী নেতা মশিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কর্মসূচি আছে, নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়াও আছে। কিন্তু আগে মানুষ ভাবত, পুলিশ কয়টা গুলি করবে! এখন গুলি চালানোর ব্যাপারে পুলিশের কোনো বাছবিচার নেই। তা ছাড়া কর্মী-সমর্থকেরা তো দলের কাছে আমানতও।’
দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দলের সাংগঠনিক কাঠামো ঠিক রাখতে শীর্ষ নেতা নির্বাচনে এখন থেকেই একাধিক বিকল্প ভাবনা শুরু করেছেন বর্তমান নীতিনির্ধারকেরা। কারণ দলের নতুন-পুরোনো মিলিয়ে ২৩ সদস্যের নির্বাহী পরিষদের তিনজনের ফাঁসি হয়েছে, তিনজন মারা গেছেন, ছয়জন কারাগারে আছেন। একজন বিদেশে, আরেকজন দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়, আর বাকি নয়জন আত্মগোপনে আছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেপ্তার হন দলের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। সেই থেকে শীর্ষ দুটি পদ চলছে ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দিয়ে। বর্তমানে মকবুল আহমাদ ভারপ্রাপ্ত আমির ও শফিকুর রহমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল। এর মধ্যে মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তাই এখন সেক্রেটারি জেনারেল পদে কাউকে স্থায়ী মনোনয়ন দিতে হবে।
জামায়াতের নেতারা মনে করছেন, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে মতিউর রহমান নিজামীরও সাজা হয়ে যেতে পারে। সে পর্যন্ত সেক্রেটারি জেনারেল পদে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা শফিকুর রহমান থাকতে পারেন। এরপর একসঙ্গে দলের শীর্ষ দুটি পদে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হতে পারে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দলের গঠনতন্ত্র মেনে নেতা নির্বাচন করা দুরূহ। সে ক্ষেত্রে মজলিশে শুরার অধিবেশন ডাকা এবং সারা দেশে রুকনদের (শপথধারী সদস্য) ভোট নিতে হবে। তাই নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় একাধিক বিকল্প ভাবছেন নীতিনির্ধারকেরা।
সর্বশেষ গত বছরের জুলাই মাসে প্রকাশিত জামায়াতের গঠনতন্ত্রে দেখা যায়, ‘আমিরে জামায়াত’-সম্পর্কিত ১৫ নম্বর ধারায় (ঘ) উপধারা যুক্ত করে ভারপ্রাপ্ত আমিরের মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল করা হয়েছে। তাতে বলা আছে, ‘কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমিরে জামায়াতের নির্বাচন অনুষ্ঠান যদি কিছুতেই সম্ভব না হয়, তা হইলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত আমির কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার অনুমোদন সাপেক্ষে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।’ অবশ্য দলের গঠনতন্ত্রে তিন বছর অন্তর আমির নির্বাচন, আমির অনূর্ধ্ব ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে একজন ভারপ্রাপ্ত আমির করা, নিযুক্ত আমির ছয় মাসের মধ্যে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নতুন আমির নির্বাচনের ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ আছে।
নিজামী ও মুজাহিদ আবার মুক্ত হয়ে ফিরে আসবেন—এ আশায় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে অনির্ধারিত সময়ের জন্য এ দুই পদে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চালানোর বিধান সংযোজন করা হয়েছিল। কিন্তু মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবং নিজামীর মামলা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকায় পরবর্তী আমির ও সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচনের প্রক্রিয়া কী হবে, তা সামনে এসে পড়েছে। আবার এ দুই পদে কারা নেতা হবেন, তা নিয়ে দলের ভেতরে একধরনের স্নায়ুচাপ চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মশিউল আলম বলেন, আমির শুরার সঙ্গে পরামর্শ করে সেক্রেটারি জেনারেল মনোনয়ন দেন। কিন্তু এখন আমিরও ভারপ্রাপ্ত। স্বাভাবিক অবস্থা না হলে মজলিশে শুরা ডাকা যাচ্ছে না। তাই আপৎকালীনের জন্য ম্যান্ডেট (অনুমোদন) নেওয়া আছে।
জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা বলেন, দলের একটি অংশ মকবুল আহমাদকে আমির ও শফিকুর রহমানকে সেক্রেটারি জেনারেল পদে স্থায়ী করার কথা ভাবছে। নায়েবে আমির মুজিবুর রহমানকে আমির ও শফিকুর রহমানকে সেক্রেটারি করার মতও আছে। আবার একটি পক্ষ চায় শফিকুর রহমান আমির হলে দলের ঢাকা মহানগরের আমির রফিকুল ইসলাম খান যেন সেক্রেটারি জেনারেল হন।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, কারাবন্দী থাকলেও এত দিন মুজাহিদের পরামর্শেই দল পরিচালিত হতো। বর্তমানে যাঁরা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁরা মুজাহিদের পছন্দের লোক। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম খানকে মুজাহিদের আস্থাভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ডিঙিয়ে রফিকুল ইসলাম খানকে ঢাকা মহানগরের আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অবশ্য মশিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত দিয়ে তো অনেক দলই চলছে। আমাদের চলতে অসুবিধা কোথায়।’
উৎসঃ দলের ভবিষ্যৎ ও নেতৃত্ব, বিকল্প চিন্তায় জামায়াত, সেলিম জাহেদ, প্রথম আলো, ২৪ নভেম্বর ২০১৫
অন্দরমহলে অনেক রাবিশ-বোগাস কথা বলা যায় বাট আপনি যখন পাবলিক প্লেসে কিছু লিখবেন তখন মাথায় রাখতে হবে রেফারেন্স ও বিশ্বস্ত তথ্যসূত্রের বিষয়টি। আপনি যে পত্রিকা থেকে লেখাটি ধার করেছেন সেটার শিরোনাম ও সংবাদের মূল দৃষ্টিভঙ্গিকে আপনি স্পষ্ট বিকৃতি করেছেন। কারণ লেখাদুটি( আপনার ও প্রথম আলোর) প্রায় হুবহ বাট শিরোনামে আকাশ-পাতাল তফাৎ! যা নি:সন্দেহে হলুদ ব্লগিং!! দেখুন প্রথম আলোর রিপোর্টার জামায়াতের নেতৃত্বের বর্তমান সংকট দেখানোর চেষ্টা করেছেন আর আপনি লাফ দিয়ে আগবাড়িয়ে অযাচিতভাবে দলাদলির থিউরি আবিষ্কার করলেন!!
অবাক করার বিষয় হচ্ছে সংগৃহিত পোস্টের কালেকটর কি ব্লগের স্বয়ং এডমিন মহোদয়?? তাহলে সেটা খুবই দু:খজনক! ব্লগ কৃর্তপক্ষ যদি তথ্য বিকৃতি করে থাকে তাহলে সেটা খুবই লজ্জাজনক!!
কারণ রিপোর্টার নির্ভরযোগ্য ও ক্লিয়ার একজন ব্যক্তির রেফারেন্স দিয়ে নেতৃত্বের জায়গাটা স্পষ্ট করেছেন! আর ব্লগ কৃর্তপক্ষ নাকি নেগেটিভিটির গন্ধ পেলেন!! কৃর্তপক্ষের রুচিবোধ কতটা নিচু হলে মৃত একজন ব্যক্তির চারিত্রিক অবয়বে কালি ছিঁটাতে মিথ্যা তত্ত্বকে স্ট্যান্ড ধরতে পারেন!!!
সমালোচনা করা ভালো কিন্তু সেটা যখন অন্ধ ও বধিরের মতো হতে থাকে তখন প্রশ্ন আসে তাদের উদ্দেশ্যের পরিধি ও মিশন নিয়ে……!!!
কাজেই আরজি জানাব—বিশ্বসেরা বিখ্যাত সমালোচকদের বই পড়ুন! জানুন! শিখুন! কিভাবে সমালোচনা করতে! সেটা অবশ্যই পত্রিকার তথ্য চুরি করে নয়!!!
সংগৃহীত পোস্টের সম্পাদনা করা যায়? আর যে রিপোর্টকে এখানে ‘সংগৃহীত’ বলে আপলোড করা হয়েছে, সেখানে গ্রুপিং এর কোন ইঙ্গিতও দেয়া হয়নি। বরং ‘রিপোর্টার্স ভিউ’ থেকে একটি রিপোর্ট করা হয়েছে। যে পত্রিকায় এটি ছাপা হয়েছে, তারা নীতিগত ভাবে এবং ঘোষিত জামায়াত বিরোধী হলেও তুলনামূলকভাবে রিপোর্টটি পরিমার্জিত। আর ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’ ব্লগ নাম দিয়ে চালানো আপনাদের এই ব্লগে যুক্তিহীন এবং অন্যায্যভাবে শিরোনাম পরিবর্তন করে আপলোড করা হলো! শিরোনামকে যুক্তিগ্রাহ্য করার মত কোন তথ্য মূল রিপোর্টে নেই। আপনিও উল্লেখ করেননি। শিরোনাম দেখে রিপোর্টটি দেখে আকৃষ্ট হয়ে পড়তে শুরু করি। কিন্তু পড়া শেষে খুব হতাশ হই। তাৎক্ষণিকভাবে আমার মনে কয়েকটি প্রশ্ন উদয় হয়েছে।
০১. নাম সর্বস্ব দেয়াল পত্রিকা মার্কা স্টাইলে (যেখানে চটকদার শিরোনাম এর সাথে মূল লেখার কোন সামঞ্জস্য থাকে না) একটি লেখা আপলোড করার মাধ্যমে imbdblog.com সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে চায়? নাকি এটি তাদের অন্য কোন ‘উদ্দেশ্য’ পূরনের মিশন?
০২. সিএনএন, বিবিসি সহ পশ্চিমা অনেক বিখ্যাত মিডিয়ার গ্রহণযোগ্যতাও এখন আর প্রশ্নাতীত নয় তাদের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ‘মেকানাইজড’ সংবাদ পরিবেশনের কারণে। শুরু থেকে imbdblog.com যে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল, এই লেখা আপলোডের পর আমার মত অনেক পাঠকের মনে প্রশ্ন জেগেছে imbdblog.com ও নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ‘মেকানাইজড্’ তথ্য সরবরাহের মিশনে নেমেছে কি?
০৩. জামায়াত সর্ম্পকে ব্লগ কর্তৃপক্ষের নীতিগত অবস্থান ভিন্ন হতে পারে এবং তা দোষেরও কিছু নয়। কিন্তু imbdblog.com নামে ব্লগ চালিয়ে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামি জনশক্তির একটি সংগঠণকে যক্তিহীনভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার সচেতন/অসচেতন প্রচেষ্টা ব্লগের নামের যথার্থতাই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়, নয় কি?
০৪. আমরা জানি, ব্লগ একটি উম্মুক্ত প্লাটফরম। যেখানে মানুষ তার বক্তব্য অকপটে প্রকাশ করতে পারে। তারপরও এখানে এডমিন থাকেন, যাতে লেখকের ‘অকপট বক্তব্য’ও সীমা লঙ্ঘন না করে, মুক্ত চিন্তার প্রকাশের যায়গাটি যাতে চরিত্র হননের প্লাটফরম-এ পরিণত না হয়। imbdblog.com একটি পলিসি আছে যেখানে এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত লিখেছেনও। যাতে একটি গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রত্যাশা তৈরী হয়। এই পোস্ট আপলোড করার মাধ্যমে সেই গ্রহণযোগ্যতা ও প্রত্যাশা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল না?
০৫. সবচেয়ে বড় এবং ভয়ের যে প্রশ্নটি মনে উকি দিচ্ছে, তাহলে কি imbdblog.com এমন কোন গোষ্ঠীর ক্রীড়ণকে পরিণত হয়নি তো, যারা সারা বিশ্বে মুসলমানদেরই ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে?
বাংলাদেশ থেকে অনেকভাবেই ফেইসবুক চালানো যাচ্ছে শুনছি।যদি দেখে না থাকেন তাহলে ফেইসবুকে আইএমবিডি ব্লগের পেইজে কিছু মন্তব্যের মাধ্যমে আমরা ব্যখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছি।একটি সতন্ত্র পোষ্টও লেখা হয়েছে সময় করে পড়ে নেয়ার আহবান রইল। https://www.facebook.com/imbdblog/posts/903864353035780:0
মুল বিষয়ে আসা যাক। শিরোনামটা ছাড়া এই পোষ্টের কোন কিছুই আইএমবিডি ব্লগের নয়।প্রথম আলো যেখানে সফট শিরোনাম দিয়েছে অথচ আমরা দিয়েছি একটু ভিন্ন, এলার্মিং! সবাই না বুঝলেও অন্তত কিছু মানুষের বোঝা উচিত, বুঝার চেষ্টা করা উচিত।অবশ্য নেগেটিভ দিয়ে পজেটিভ বোঝা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।তবে গ্রুপিং বলতে বাংলাদেশে যা বুঝায় সেটা হয়ত জামায়াতের জন্য প্রযোজ্য নয়,হবেই বা কেন?
আপনি সহ মন্তব্যকারীদের প্রায় সবাই শিরোনামের দিকে নজর দিয়েছেন অথচ মুল আলোচনায় কত বিস্ফোরক তথ্য রয়েছে সেগুলো আলোচনার ধারে কাছেও নেই!শিরোনাম একটু অপ্রত্যাশিত হলেও মুল বক্তব্য থেকে এমন উপসংহারে পৌঁছা অসম্ভব নয়।
ভাল করে খোজ নিন,তারপর নিশ্চিত হন, ভেতরে কি হচ্ছে।শিরোনামের একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে সতর্ক করা।এই বিষয়গুলো অজানা নয়, অন্তত আমাদের কাছে। কিন্তু আমরা স্বপ্রনোধিত হয়ে প্রকাশ করতে চাইনি,বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য।কিন্তু এখন যখন গনমাধ্যমে চলে এসেছে তখন শেয়ার করে জানানো কর্তব্য মনে করি আমরা।
শুধু শিরোনাম পড়ে জামায়াত শিবির পাঠকদের যে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সেখান থেকে সংস্লিষ্ট দায়িত্বশীলগন নিশ্চয়ই বার্তা নেবেন।একটি বার্তা হচ্ছে, মাঠ পর্যায়ে ঐক্য অটুট রাখার জন্য ভেতরকার দন্ধগুলো ভেতরেই মেটাতে হবে অন্যথায় সাধারন মানুষ ভালভাবে নেবেনা।কিন্তু ভেতরে পক্ষপাতদুষ্টতা, একগেয়েমিতা ও বাহুবলতা নেই এমন কথা বলে দলকে ঐশ্যরিক দাবী করা দীর্ঘমেয়াদে ভাল নয়।
কোন কিছু অস্বীকার করলেই যদি সমস্যার সমাধান হয়ে যেত তাহলে জামায়াত বর্তমানের পরিস্থিতে এসে পৌছাত না।যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়েও আমরা দেখেছি অস্বীকারের মানসিকতা,যার ফলাফল বর্তমান। কথায় আছে “আক্কলের জন্য ইশারা ই কাফি”, কিন্তু জামায়াতের জন্য এই বাক্যও ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
দৃষ্টি আকর্যণের জন্য ধন্যবাদ
জাযাকাল্লাহ……….
Be cool এডমিন মহোদয়! কোনো কিছু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হয় নট অগ্নি! নট রাগ! প্রথম কথা আপনার লিংকটা ইনঅ্যাকটিভ। বাকীটা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বললে….
১। আপনার বক্তব্যের শুরুটা আমার কাছে স্ববিরোধী মনে হয়েছে। কারণ আপনার কথিত সংগৃহিত পোস্টের শিরোনাম ও আপনার কমেন্ট‘‘‘‘‘‘‘গ্রুপিং বলতে বাংলাদেশে যা বুঝায় সেটা হয়ত জামায়াতের জন্য প্রযোজ্য নয়,হবেই বা কেন?’’’’!!
২। আপনি মন্তব্যের আশানুরুপ জবাব না দিয়ে উল্টো পাঠকদের তিরষ্কার করলেন! আর যাই হোক এডমিন মহোদয়ের এহেন অবস্থানের সাথে বিষয়টি বেমানান।। কিছু ব্যক্তির বোঝা উচিত বলতে আপনি যাদেরকে টার্গেট করেছেন! যদি ভুল না করে থাকি আর বিভিন্নসময়ে এই ব্লগে যাদেরকে কলংকিত করার অপচেষ্টা করা হয় প্রায় সবাই দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন বা নিচ্ছেন। বাকীরাও হয়ত জালিমের শিকার হবেন। তাহলে কাদেরকে নিয়ে আপনাদের মাথাব্যাথা??? নাকি নতুন প্রজন্ম নিয়ে?? তাহলে প্রশ্ন থাকল নবীনদের কেন নব্য রাজাকার বলা হয়?? আমরা তো বিবেককে বন্ধক দিয়ে মন্তব্য করতে আসিনি! তাই অযথা উদ্ভট আগাম ধারনা না করাই ভালো।
৩। আর হ্যাঁ নেভেটিভ থেকে অনেক কিছু শিখার আছে বাট বিকৃত ও বানোয়াট তথ্য অবশ্য কিছু শিখার থাকে না!! আপনার কমেন্ট থেকে স্পষ্ট ব্লগটি দেশের বাহির থেকে চালানো হয়!! অথচ আপনি বললেন আমাদেরকে দলের খোঁজ নিতে!! যদিও আমরা এখনও ৫৬ হাজার বর্গমাইলেই আছি!! আর আপনি প্রবাসে!!! কাজেই পরামর্শ থাকল তথ্য ও শিরোনাম বিকৃতি নিয়ে গবেষণার। প্লিজ একটু কি জানাবেন, সংগৃহিত পোস্টের শিরোনাম ও উপসংহারের সামঞ্জ্যটা???
৪। ঐক্যের ব্যাপারে জামায়াতকে ভালো একটি পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু কে বা কারা জামায়াতকে ঐশ্যরিক দল দাবি করেছে, একটু জানাবেন????
৫।একদম শেষ প্যারাটা আপনার স্ট্যান্ড পয়েন্টকে স্পষ্ট করে দিয়েছে! ৭১ নিয়ে স্বঘোষিত কয়েকজন সংস্কারপন্থীর মতো আপনার অবস্থানও ক্লিয়ার!! কাজেই এ ব্যাপারে কথা বলাটা জাস্ট টাইম লস!! শেষবেলা বিনয়ের সাথে একটি প্রশ্ন করব, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও জনাব একে খন্দকারকে কেন হরহামেশাই রাজাকার বলা হয়????? আর ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক সাহেবকে আওয়ামীলীগ কেন যুদ্ধাপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করতে চেয়েছিল????????
মুহতারাম সম্পাদক,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ……….
Shariful Islam Sharif এবং Abu Musanna এঁদের মন্তব্যের জবাব পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান আছি
তথ্যনির্ভর ও যুক্তিসংগত জবাব না হলে বাধ্য হয়েই http://imbdblog.com/ কে অন্য তালিকায় নিতে হবে
আশা করি জবাব পেতে দেরী হবেনা
এডমিন ভাই আপনি কি নতুন প্রথম আলোর সাংবাদিক। হলুদ এডমিন
ব্যক্তিগতভাবে আমি আমি এ ব্লগটা প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানিয়েছিলাম এজন্য যে, আমি ভেবেছিলাম যারা কোন না কারনে মান-অভিমান করে সংগঠন থেকে দূরে আছেন তারা তাদের স্মৃতি তুলে ধরবেন এবং বর্তমানে যারা আছেন তারা এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে সাবধান হবেন।
কিন্তু এখন দেখি এনারাতো মানুষের চরিত্র হননের এক ঘৃন্য উচ্ছাসে মেতে উঠেছেন একেবারে আওয়ামী সরকারের মত, না তা না করং আরো এককাঠি সরস!!
প্রথম অালো জামায়াতের কট্রর বিরোধী, যারা তিলকে তাল করে তারা যেটা করলোনা আর এনারা আবিস্কার করলেন গ্রুপিং।।
ভালই-চালিয়ে যান ভাই সাহেবরা!! বস্তাপঁচা তথ্য বেশিদিন গিলাতে পারবেননা। আপনাদের উদ্দেশ্য যে দিন দিন পরিস্কার হচ্ছে।।।
বিশ্বাসীগন কখনো ধোকা দেয় না এবং কখনো ধোকা খায় না।
কিভাবে গুরিয়ে পেঁচিয়ে , তথ্য বিকৃত করে সমালোচনায় মুখোর স্বয়ং এডমিন তা দেখে খুবই আশ্চর্য লাগলো । আবার কিছু ক্ষেত্রে তথ্য ছাড়াই কেবল অনুমান নির্ভর সমালোচনা ।
বৃটিশরা যখন এদেশ শাষন করত তখন নাকি তারা ইসলামের নামে অনেক আজে বাজে মন্তব্য করত ।ওরা ইয়াহুদি, নাসারা ছিল ওরা তো বলবেই। এরপর বাংলাদেশ সাধীন হবার পর মুসলমান্দের মধ্য থেকেই কিচু কুলাঙ্গার ইসলাম,ইসলামীদল ,ইসলামী নেত্রিত্ব নিয়ে বৃটিশদের ভাষায় গালি দিল বা দিচ্ছে ওরা তো কুরান,হাদীস,দ্বীন বুঝেনা । এখন ইসলামীক মুভমেন্ট নাম দিয়ে নিজেকে খাটি মুসলমান দাবী করে এমন ভাবে ইসলাম, ইসলামী দল ও নেতৃত্যকে গালী দেয়া হচ্ছে যা বৃটিশদের থেকেও অনেক মাত্রায় বেশি, সত্যীই সেলুকাস । আমি আগে নিয়মিত এই ব্লগটি পড়তাম ইসলামিক মুভমেন্ট নাম দেখে এই আশায় যে হতাশার মাঝেও , ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য যদি কোন আশার বানী পাই এ জন্য এখন থেকে আমি ঘৃনা ভরে, এই মিথ্যাবাদী ,অপবাদ কারীদের প্রত্যাখান করছি , এদের মাধ্যমে আমার কোন কিছুই জানার দরকার নেই। আমি শুধু নামাজ পড়তে পারলেই আলহামদুলিল্লাহ……