দলের প্রতিষ্ঠিত নামকরনের ঐতিহ্যগত অবস্থানের বিপরীতে দাড়িয়ে পাকিস্তান জামায়াত-ই-ইসলামীর আমির সিরাজুল হক
বলেন-ধর্মের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় ডন পত্রিকার সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন ‘আমি রাজনীতিকে ধর্ম ভিত্তিক এবং ধর্মহীন শ্রেণীতে বিভাজন করায় বিশ্বাস করিনা, এমনকি এই ধরনের বিভাজন রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য কোন উপকারীও নয়।
জাতীয়তার বিষয়টিও কৃত্রিম, যেহেতু প্রতিটি সমাজ শুধুমাত্র অত্যাচারি ও অত্যাচারিত এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত …এবং জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে নিপীড়িত শ্রেণীর ঐক্য প্রয়োজন।
ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দলের ক্রমাগত ব্যর্থতার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি নির্বাচন ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন পুরো ব্যবস্থাটি প্রভাবশালী দ্বারা ম্যানিপুলেট হচ্ছে। “বর্তমান বিধি ব্যবস্থায়, রাজনীতি নিজেই সেইসাথে ভোটাররাও ক্ষমতাশালী ও বিত্তের মালিকদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে রয়েছে”
কোনো রাজনৈতিক দলেরই সশস্র শাখা থাকতে দেয়া উচিত নয় এবং একই সাথে ইসলামী জমিয়েতে তালাবা (ছাত্র সংঘ)কে সশস্র সংগঠন নয় বরং জামায়াতের ছাত্র সংগঠন দাবী করেন তিনি যার সভাপতি ছিলেন একসময়।
তিনি আরো বলেন জামায়াত বন্দুক দিয়ে ক্ষমতা দখল করার নীতিতে বিশ্বাস করেনা। তিনি জানান যে ২০১৪ সালের এপ্রিলে দলটির আমির হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক শক্তিই যেখানে জঙ্গি সংগঠনও ছিল যারা আমাকে চিঠি লেখে এক সাথে কাজ করার জন্য এবং বন্দুকের মাধ্যমে পাকিস্তানে ইসলাম কায়েমের জন্য।কিন্তু তিনি তার ডাকে সাড়া দেননি বলে জানান।
বাংলাদেশে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থানকারীদের বিচার সম্পর্কে তার দল নীরব কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন; এই পলিসি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পরামর্শক্রমে গৃহীত হয়েছে,কেননা তাদের ভয় আমাদের সাপোর্ট ওখানকার পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে তিনি দাবী করেন সংগোপনে তিনি সৌদি, তুরস্ক, চীন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
সোর্স: AMJAD MAHMOOD, Jamaat-i-Islami doesn’t ‘believe in politics of religion’, http://www.dawn.com/news/1171978/
হেডলাইনটি আরও স্পেসিফিক হওয়া উচিত! কারণ বাংলাদেশ জামায়াত কিংবা ইন্ডিয়ান জামায়াত তো একথা বলেননি। তারপরও কেন ডিরেক্ট পাকিস্তান জামায়াত না বলে ঢালাওভাবে জামায়াতের বক্তব্য বলা হচ্ছে? বিষয়টি বিভ্রান্তিকর!
যদিও ভারতবিভাগের পূর্বে তারা একীভূত ছিল………………..