- বাংলাদেশ-ভারত পর্বত প্রমাণ বাণিজ্য বৈষম্য, দৈনিক ইনকিলাব, ২০১৬-০২-১৯
গত বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন যে, দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের মধ্যে প্রতিবেশী ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি সবচেয়ে বেশি। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেছেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে ৫ হাজার ৮১১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। পক্ষান্তরে ৫২৭ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৫ হাজার ২৮৪ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কোটির হিসাবে ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ ৫৮২ কোটি ডলার আর ভারতে বাংলাদেশে রফতানির পরিমাণ মাত্র ৫৩ কোটি ডলার।
১০ বছর আগে ২০০৫-২০০৬ অর্থ বছরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ঘাটতি ছিল ১৬০ কোটি ডলার। ১০ বছরে এই ঘাটতি বেড়েছে ৪২২ কোটি ডলার। অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে টাকার হিসাবে ৪১ হাজার কোটি টাকা। ২ সপ্তাহ আগে একটি বাংলা সহযোগী জানিয়েছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আট বছরে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে প্রায় চার গুণ। ক্রমেই বাংলাদেশের প্রতিকূলে যাচ্ছে বাণিজ্যিক ভারসাম্য। বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, একবছরের ব্যবধানে ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘটতি বেড়েছে ৩৩.৭৬ শতাংশ। যদিও এ সময়টায় ট্রানজিট থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করার সুযোগসহ অনেক কিছু পেয়েছে ভারত।
৬৭ বছর আগে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ভারত সাবেক পূর্ব পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশের নিকট থেকে যতকিছু চেয়েছে, বিগত ৭ বছরে তার সবকিছুই পেয়েছে। বাংলাদেশের নিকট থেকে ভারতের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো বহুমুখী ট্রানজিট তথা করিডোর সুবিধা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্যে বিদ্রোহ দমনে বাংলাদেশের সক্রিয় সহায়তা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহ দমনে বাংলাদেশের সক্রিয় সহায়তা। ১৯৪৭ সালের পর থেকেই উত্তর-পূর্ব ভারতের এই ৭টি রাজ্য স্বাধীন হওয়ার জন্য প্রথমে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করে। পরবর্তীতে এই আন্দোলন সশস্ত্র তৎপরতায় পর্যবসিত হয়। এই সশস্ত্র তৎপরতার জন্য ভারতকে ৩ থেকে ৪ লাখ সৈন্য এই অঞ্চলে মোতায়েন রাখতে হয়। বিশ্বশক্তি হওয়ার পথে এটি ছিল ভারতের জন্য একটি বড় অন্তরায়। পশ্চিম দিকে পাকিস্তান এবং উত্তর-পূর্ব দিকে ৭ প্রদেশ এই দু’টি অঞ্চলকে বৈরী রেখে ভারতের পক্ষে পরাশক্তি হওয়া সম্ভব নয়। বর্তমান সরকারের সক্রিয় সহায়তায় বিচ্ছিন্নতাবাদ নিয়ন্ত্রণে আসায় এই অঞ্চল থেকে ভারত টেনশন মুক্ত হয়েছে। এটি ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় পাওনা। এ দু’টি সুবিধা ছাড়াও বিগত ৭ বছরে বাংলাদেশ ভারতকে দিয়েছে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুবিধা। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, কক্সবাজারের অদূরে সোনাদিয়ায় গণচীন কর্র্তৃক যে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কথা ছিল সেটি পরিত্যক্ত হয়েছে। তার পরিবর্তে এখন নাকি পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হবে এবং সেই নির্মাণ কাজ নাকি বাস্তবায়ন করবে ভারত।
- বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ঘাটতি প্রসঙ্গে, বণিক বার্তা, ২০১৫-০৬-০৬
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ভারত। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ ভারতের সঙ্গেই হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলারের ওপর। তার মধ্যে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের উপরে এবং রফতানির পরিমাণ মাত্র দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ওপর দাঁড়িয়েছে; যেখানে ২০০৫-০৬ সালে এ বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল মাত্র দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো। এ বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি কীভাবে কমানো যায়, এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বিস্তর আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু এর সমাধান বা বাণিজ্য ঘাটতি কমার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
- দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৪ বছরে দ্বিগুণ হবে, প্রথম আলো, জুন ২৭, ২০১৪
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য পুরোপুরিই ভারতের অনুকূলে৷ আর বড় ধরনের ঘাটতিতে আছে বাংলাদেশ৷ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৬১০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ৪৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য। ফলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ঘাটতি ৫৫০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
ইন্দো-বাংলা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভারতে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সে দেশের বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর এ দেশে একক অথবা যৌথ বিনিয়োগ৷ তাহলেই এ দেশের পণ্য রপ্তানি বাড়বে।মাতলুব আরও জানান, সান ফার্মা, এশিয়ান পেইন্টস, ডাবর, ম্যারিকোর মতো কয়েকটি বড় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান এ দেশে বিনিয়োগ করেছে, পণ্যও তৈরি করছে। কিন্তু তারা নিজের দেশে রপ্তানির চেয়ে এ দেশের বাজার ধরায় ব্যস্ত।
ভারতের থেকে ঋণ
ভারতের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ অবকাঠামো প্রস্তুত করছে।এই ঋণ নিজেই ভারতের আরেকটি বাণিজ্য, যা বাংলাদেশের স্বার্থে নয়, দেখুন;
ভারতের ২০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুত ঋণ পেতে উচ্চ সুদসহ কঠিন শর্ত দিয়েছে দেশটি। শর্তানুসারে লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) ঋণের অনুকূলে গৃহীত প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ পণ্য বা সেবা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে আনতে হবে। বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানকে কাজের সুযোগ করে দেয়ার শর্তে এ ধরনের ঋণ, যা সরবরাহ করবে সে দেশের এক্সিম ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঋণ দিয়ে বস্তুত একতরফাভাবে লাভবান হতে চায় ভারত।
জুন মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে ২০০ কোটি ডলারের সমঝোতা চুক্তি হয়, যা দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত। ভারতের এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক বা এক্সিম ব্যাংক এ ঋণ দেবে। এর আগেও ভারতের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে যার ২০ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই চুক্তির অর্থ ব্যবহারের শর্ত কিছুটা নমনীয় ছিল। তাতে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে ৬৫ শতাংশ এবং অন্য প্রকল্পে ৭৫ শতাংশ কেনাকাটা ভারত থেকে করার শর্ত ছিল।
- বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ঘাটতি ১০ বছরে চারগুণ, নয়া দিগন্ত, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
- রামপালে ১৫ ভাগ বিনিয়োগে ভারতের মালিকানা ৫০ ভাগ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, RTNN, ০৭ অক্টোবর,২০১৩
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে নানাবিধ ক্ষতি হবে। তারমধ্যে অন্যতম উদ্বেগের জায়গা বা ক্ষতিকর বিষয় হিসেবে আমরা তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছি। বিষয়গুলো হচ্ছে- প্রথমত: বাংলাদেশের সরকার রামপালে কয়লা দিয়ে তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতের কোম্পানী ‘এনটিপিসি’র সঙ্গে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চুক্তি করেছে। এই চুক্তিটি পুরোপুরি অসম এবং অস্বচ্ছ একটি চুক্তি। ভারতের সাথে ওই চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসগুলো পুরোপুরি বাংলাদেশে স্বার্থের বিরুদ্ধে।আমরা হিসাব-নিকাষ করে দেখেছি লোকেশান হিসেবে এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে ভারতের জন্য অনেক লাভজনক হবে। একই সাথে ভারতীয় কোম্পানিকে অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধাও দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। তাদের কর মওকুফ করা হচ্ছে। ভারতীয় কোম্পানি ‘এনটিপিসি’ শতকরা মাত্র ১৫ ভাগ ইনভেস্ট করে শতকরা ৫০ ভাগের কর্তৃত্ব পাবে। তাছাড়া তাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হবে। শুধু তাই না যে বিদ্যুৎ তৈরি হবে তার দাম এখনও অনির্ধারিত। সবকিছু মিলিয়ে ভারতের লাভের অঙ্ক অনেক বেশি।
- বাংলাদেশে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের বিনিয়োগ কম, Los Angeles Bangla Times, ১০-০৬-২০১৫
- দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৪ বছরে দ্বিগুণ হবে, প্রথম আলো, জুন ২৭, ২০১৪
- ভারত ভ্রমণে শীর্ষে বাংলাদেশী পর্যটক, বণিক বার্তা, ২০১৫-১২-০২
নথিতে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) ভারতে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৮০ হাজার; যার মধ্যে ৯ লাখ ২০ হাজার বা ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশই গেছে বাংলাদেশ থেকে। দেশটি ভ্রমণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকরা, শতাংশে যা ১৪ দশমিক ৫৫। আর যুক্তরাজ্য থেকে ভারতে গেছে মোট পর্যটকের ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত নথিতে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটন খাত থেকে ৯ হাজার ৬১১ কোটি রুপি আয় করেছে দেশটি; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে দেশটিতে সবচেয়ে কম পর্যটক গেছে পাকিস্তান থেকে; যা মোট পর্যটকের মাত্র ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ভারত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৬২ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে রফতানি করে ৬০০ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের পণ্য।
- অপরাধ ও অর্থ পাচারে বিদেশীরা, দৈনিক ইনকিলাব, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
বৈধ বিদেশী সাড়ে ১৬ হাজার, আর অবৈধ ১২ লাখের বেশী। অবৈধ বিদেশীদের অধিকাংশই আবার ভারতীয়। বিশ্ব ব্যাংকের ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে- ভারতের বৈদেশিক রেমিটেন্স আয়ের পঞ্চম উৎস উন্নয়নশীল এই বাংলাদেশ। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় পাঁচ লাখ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করেন। তারা তাদের দেশে এক বছরে ৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার সমান। বাংলাদেশ ভারতে পঞ্চম রেমিট্যান্স প্রদানকারী দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
- Bangladesh is the 5th Highest Nations Sending Remittances to India, Silicon India 21/05/2013
Bangladesh is a developing country and is the eighth most populous country in the world. It is reported that there are Indians who are staying in Bangladesh and there are about 500,000 Indians presently residing. People who are migrating to Bangladesh illegally are from West Bengal, Meghalaya, Assam, Tripura and Mizoram. According to the government authorities of the country, most of them come in search of job opportunities and mostly work in NGOs, garments and textile industries. These Indians remit $3,716 million to their home country and the number is expected to increase in next few years.
ভারতকে বুঝা সিরিজের বাকী পোস্টগুলো;
- ভারত বাংলাদেশে কী চায়?
- ‘যারা ভারতের শত্রু, তারা বাংলাদেশেরও শত্রু’
- বাংলাদেশ ভারতের বাণিজ্যিক বাজার
- ভারতের সহযোগী উন্নয়ন পথ
- ‘অখণ্ড ভারত’ স্বপ্ন ও ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ বৃত্তি
- ‘ভারত মাতা কি জয়’ ও ভারতীয় রাজনীতি
- বিজেপির বাংলাদেশ বিরোধী রাজনীতি
- ‘বাংলাদেশিদের সঙ্গে শত্রুর মতো আচরণ করছে ভারত’
- হায়দ্রাবাদ থেকে সিকিম হয়ে বাংলাদেশ:নেহেরু ডকট্রিন ও আজকের বাস্তবতা