এক.
একটি ঐতিহাসিক ভুলই একটা রাজনৈতিক দলের নিয়তি নির্ধারণের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু জামায়াত ১৯৭১ সালের এত মারাত্নক ভুলকেও বিভিন্ন অপব্যখ্যা দিয়ে- ঢাকবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। পাকিস্তান এদেশের নিরীহ জনগণের উপর যে জুলুম করেছে্, তা শতাব্দীর অন্যতম নির্মম উপাখ্যান। আজ অবধি, পাকিস্তান একটি দুর্বল এবং অস্থিতিশীল রাষ্ট্র । তাদের সাথে একত্র থাকা মোটেও বাংলাদেশের জন্য সুবিবেচনা হতনা।
জামায়াত আসলে স্বাধীনতাকামী একটি জাতির আবেগ-অনুভূতি বা বিপ্লবী মানসিকতা, কিছুই বুঝতে পারেনি। আজো পারেনা। এই জন্যই তারা জনবিচ্ছিন্ন। মানলাম, রাজনৈতিকভাবে জামায়াত পাকিস্তানের সাথে একত্রে থাকায় বিশ্বাস করত। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতে, যখন হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত-নিরীহ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তারপর কি সেই নারকীয় জেনারেলের অধীনে, পাকিস্তানের বশ্যতায় থাকার কোনো যুক্তি থাকতে পারে ? খুন হল, ধর্ষণ হল, সারা দেশ বিপর্যস্ত হল অত্যাচারে-কিন্তু জামায়াতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হলনা । তারা নিজেরা অংশ না নিলেও তাদের নৈতিক সমর্থন থাকায়, এত বড় জুলুমের দায় জামায়াত ও তার নেতৃবৃন্দ এড়াতে পারেনা। নয় মাস তুমুল নির্যাতন দেখেও, গোলাম আজমরা পাকিস্তান প্রেম ছাড়তে পারলেননা !
এক বারও তারা ভাবলেননা, যে এত অত্যাচারের পর, স্বাধীনতা ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো গতি নেই; চাই সেটা ভারতের সাথে দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বহন করুক, আর না করুক। ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব স্বাধীনতার চেয়ে অধিক তাৎপর্যমন্ডিত নয়, কোনো বিচারেই। স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষা করতে গেলে, একটি দেশকে অন্যান্য শক্তিশালী দেশসমূহের আগ্রাসন মোকাবেলা করেই টিকে থাকতে হয়, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু ভারতের গ্রাস করার ভয়, জামায়াত নেতাদের এতোটাই পেয়ে বসল যে, হিম্মত হারিয়ে পাকিস্তানের সব অত্যাচার-জুলুমকেও তারা হাসি মুখে অভিবাদন জানাতে লাগলেন। ফলে জুলুমের সহযোগী হবার জন্য, আল্লাহ নৈতিকভাবেই দলটিকে বাংলার মাটিতে দুর্বল করে দিলেন। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশেও তাদের ইসলামী আন্দোলন কখনও আওয়ামী নির্ভর কখনও বিএনপি নির্ভর হয়ে থাকল । মানে বাতিলের সাহায্য ছাড়া তারা অসহায়।

অধ্যাপক গোলাম আজম (রহ.) এর অনেক ভালো গুন সত্ত্বেও, চরমভাবে অদূরদর্শী একজন নেতা হয়েই থাকলেন। আর প্রতিক্রিয়াশীলতো বটেই। নইলে ৭১ এর পর, সৌদি আরবসহ অন্য দেশগুলোকে বাংলাদেশেকে স্বীকৃতি না দেবার জন্য চেষ্টা করতে পারতেননা। ১৯৭১ সালে তারা জালিমের পক্ষ অবলম্বন করে যে ভুল করেছিলেন, পরবর্তীতে শিবির সব দিক থেকে যোগ্য হবার পরও, সেই এক ভুলের কাছেই পরাস্ত হয়েছে বারবার । জুলুমের পক্ষ নেয়ার পর অবশেষে আজ তাদের জন্য যে দুর্যোগ নেমে এসেছে, সেটাকে তারা ইসলামের উপর বিপদ বলে প্রচার করছে। অথচ ইসলামের সাথে জুলমের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা জামায়াতের স্বার্থপর, আত্নকেন্দ্রীক, রক্ষণশীল নেতাদের নিজস্ব ভুল । অথচ তার খেসারত দিতে হচ্ছে নিরীহ শিবির ও ৭১ পরবর্তী জামায়াতের কলংকহীন অংশকে।
মোট কথা ১৯৭১ সালের ভু্ল, বাংলাদেশের মাটিতে সমগ্র ইসলামী আন্দোলনের ভবিষ্যতকেই বিপন্ন করে দিয়েছে। না হলে, এদেশে জামায়াতের ভূমিকা ইতিহাসে অন্যভাবে লেখা হত। আজো সুযোগ আছে, এ থেকে শিক্ষা নেয়ার । জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে, নাম -সংবিধান-নেতৃত্ব পরিবর্তন করে নতুন করে ইসলামী আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ আছে তাদের সামনে। জানিনা এটা তারা মানবে, নাকি একগুঁয়ের মত ভুলের উপর দাঁড়িয়ে, জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতি চালিয়ে যাবে ?
দুই.
জামায়াত ঐতিহাসিক এই ভুলের স্বীকার না করে যে ব্যখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে, সেই “ইন্ডিয়া ফ্যাক্টর” নিয়ে বক্তব্য একটু গভীরভাবে তলিয়ে দেখা যাক।
প্রথমত, আমি সবাইকে অনুরোধ করব ‘স্বাধীনতা’ ও ‘সার্বভৌমত্ব’ বিষয় দুটিকে বিশদভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য।বিশ্বে বাংলাদেশের আজকের যে অবস্থান, রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থতা এবং দুর্নীতিপরায়নতা সত্ত্বেও তা একটি মাইলফলক। তৃতীয় বিশ্বের বিশেষত আফ্রিকা মহাদেশের অনেক দেশের চেয়ে, বাংলাদেশ একটি সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। এদেশের জনশক্তি রপ্তানি, পোশাক শিল্প, মানব সম্পদ, ক্রিকেট খেলা ইত্যাদি অনেক কিছুই পৃথিবীতে নিজের অস্তিত্বকে জানান দিয়েছে। শাসনকার্য সঠিকভাবে পরিচালিত হলে, বাংলাদেশ অবশ্যই মালয়েশিয়ার কাতারে উপনীত হত। তবু যতটুকু উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, তা অবশ্যই আমাদের রক্তার্জিত স্বাধীনতার বিনিময়েই হয়েছে ।স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, অপার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করেছে আমাদের জন্য। এই বাস্তবতা অস্বীকারের উপায় নেই। একে অস্বীকার করার অর্থ : অগণিত মানুষের আত্নত্যাগ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইকেও অবমাননা করা।
দ্বিতীয়ত, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সামরিক আক্রমণ অবশ্যই বাতিল ও অন্যায় ছিল। তাদের দ্বারা অনেক গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। ইসলাম অনুযায়ী এরকম ঘৃণ্য জুলুমকে সমর্থনের কোনো কারন আছে কি ? বরং ইসলাম অনুযায়ী সাধারণ নিরাপরাধ মানুষের উপর জুলুম হলে, ইমানদারদের দায়িত্ব-তা প্রতিহত করা। কিন্তু জামায়াত কী করেছিল ? এত মৃত্যু, ধর্ষণ, অগ্নিকান্ড এবং কোটির উপরে মানুষের মানবেতর জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে, তারা নীরব দর্শকের মত জালিম সরকারের প্রতি সমর্থন ধরে রেখেছিল। একবার ভাবুন যে, নবী করিম (সাঃ) এরকম অন্যায়ভাবে যুদ্ধ শুরু হলে কি করতেন ? মজলুমের পক্ষে অস্ত্র ধরতেন, নাকি জালিমের প্রতি সমর্থন দিতেন আর বলতেন এটাতো কেবলই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত মাত্র। অবশ্যই নবীজি জামায়াতের সিদ্ধান্ত গ্রহন করতেননা। আমাদের ইতিহাসেও আমরা দেখেছি তিতুমীর, আহমেদ বেরলভীরা মজলুমের পক্ষে, বেনিয়াদের বিপক্ষে অস্ত্র ধারন করেছেন। অথচ জেনে বুঝে জামায়াত জালিমের পক্ষ অবলম্বন করল, আর যুক্তি হিসেবে আরো বড় জালিম মানে ভারতের ভয়কে হাজির করল।পাশাপাশি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনের সীমাহীন গৌরব থেকেও নিজেদের বঞ্চিত করল। কী অসামান্য অযোগ্যতা !
তৃতীয়ত, আমি উল্লেখ করব, সে সময়কার জনমানস এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের উপর । একটি রাজনৈতিক দলের যেকোনো বড় সিদ্ধান্ত গ্রহনের আগে, এটা অবশ্যই বিবেচনা করা উচি্ত যে, দেশের জনগোষ্ঠীর মনোভাব, আবেগ, অনুভূতি এবং ঝোঁক কোনদিকে ।জামায়াত ১৯৪৭ পরবর্তী ইতিহাসের ধারাবাহিক বিশ্লেষণ করলে অবশ্যই বুঝতে পারত যে, স্বাধীনতার দাবিতে সাধারণ মানুষের হৃদয় আন্দোলিত এবং এই দাবি অনিবার্য পরিণতি লাভ করবে, তা ১৯৭১ সালেই হোক বা তার কিছু পরে। পাকিস্তান নিজেই এই বাস্তবতাকে তৈরী করেছিল, নিজেদের ব্যর্থতায়। গোলাম আজম নিজেও জানতেন, দুই পাকিস্তান অনতিবিলম্বে আলাদা হবেই হবে। তবু ভারত জুজুর ভয় তিনি তাড়াতে না পেরে, ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
চতুর্থত, যে ভারতের ভয়ে অনেকে পাকিস্তান আঁকড়ে ধরাকে সমাধান বলে ভাবতে চান, তাদের বোঝা উচিত, পাকিস্তান কখনই বাংলার মানুষ ও ভূখন্ডকে নিরাপত্তা দিতে পারতনা। বর্তমান পাকিস্তান রাষ্ট্রই এই সত্য বোঝার জন্য যথেষ্ট।অধঃপতনের ধারাবাহিকতায়, পাকিস্তান প্রচন্ড অস্থিতিশীল একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। চরমপন্থা, সন্ত্রাস, অর্থনৈতিক ধস, রাজনৈতিক সীমাহীন ক্ষতি দেশটিকে পশ্চাৎপদ দেশে পরিণত করেছে।সম্প্রতি কোনো দেশ নিরাপত্তার অভাবে, তাদের দেশে ক্রিকেট পর্যন্ত খেলতে যায়না।শেষ পর্যন্ত শারজাহকে তাদের হোম গ্রাউন্ড বানাতে হয়েছে।তালেবান আক্রমনে যে দেশকে সারাক্ষণ তটস্থ থাকতে হয়, সে দেশ কী করে বাংলাদেশকে ভারতের বিরুদ্ধে সাহায্য করত, বুঝে আসে না।বরং পাকিস্তানের সাথে থাকলে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী ভূখন্ড আখ্যা দিয়ে, করদ রাষ্ট্রে পরিণত করা সহজ হত-পরাশক্তিগুলোর জন্য।সুতরাং এরকম অথর্ব রাষ্ট্র, যে নিজেই প্রতিদিন পেছনের দিকে হাঁটছে, তাকে পরিত্যাগ করাই বুদ্ধির দাবি।চিন্তা করুন, স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়ত কিছুটা শক্তি সঞ্চার করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর অবস্থা দেখুন, তারা কতোটা মেরুদন্ডহীন। এতে কি স্পষ্ট হয়না যে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জন্যও মংগল বয়ে এনেছে ? আশা করি বুদ্ধিমানরা এ উদাহরন থেকেই শিক্ষা নিতে পারবেন।
পঞ্চমত, আমি ‘ভারত আমাদের খেয়ে ফেলবে টাইপ ভাবনাকে’ খন্ডন করতে চাই। ভারত অবশ্যই আঞ্চলিকভাবে প্রভাব বিস্থার করতে চায় তার প্রতিবেশীদের উপর। কিন্তু ইতিহাস বলে, যে সমস্ত অপকৌশল প্রয়োগ করেও তারা নেপালে পরাস্ত হয়েছে। নেপাল ক্ষুদ্র শক্তির দেশ হয়েও ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত হয়নি। অন্যদিকে শ্রীলংকায়ও ভারতের চক্রান্ত মুখ থুবড়ে পড়েছে।তাহলে প্রায় ১৬ কোটি জনগন নিয়ে, আমরা কেন ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত হব, যেখানে নেপালের চেয়েও বাংলাদেশ সুসংগঠিত রাষ্ট ? সাময়িকভাবে বর্তমান সরকারের আচরণে মনে হতে পারে, বাংলাদেশ নতজানু হয়ে রয়েছে। কিন্তু এই সরকারইতো শেষ কথা নয়। মাথা উঁচু করে টিকে থাকার অপার সম্ভাবনা এখনও বাংলাদেশের সামনে জ্বলজ্বল করছে। পৃথিবীর মানচিত্রকে দেখুন। প্রায় অধিকাংশ রাষ্ট্রই আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ইসরাইলের মত পরাশক্তির আগ্রাসনের শিকার। এই আগ্রাসন মোকাবেলা করেই তারা টিকে আছে। এটাই বাস্তবতা। ভারতের আগ্রাসন নীতি অজেয় কিছু নয়।তাই এটাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী হওয়া উচিত যে, আমরা পাকিস্তানকে পরাজিত করেছি এবং ভারতকেও পরাজিত করে টিকে থাকব।কোনো জালিম রাষ্ট্রের কাছেই আমরা মাথা নত করবনা, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।
ষষ্ঠত, জামায়াতের এটাও বোঝা উচিত ছিল যে, ১৯৭১ সালে তাদের সিদ্ধান্ত কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আটকে রাখতে পারবেনা। তাহলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার অর্থ শুধু গনমানুষের প্রতিপক্ষে পরিণত হওয়া ছাড়া, আর কী হতে পারে ? এই সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত জামায়াতের জন্য কোনো ভালো ফল তো নয়ই, উপরন্তু অনাবশ্যক বিপদকে ত্বরাণ্বিত করে চলেছে । তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহনের ফলে, যদি পাকিস্তানের সামরিক জান্তার দানবীয় আক্রমন বন্ধ হত, এদেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হত, তাহলেও না হয় ভাবা যেত যে, তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু দেখা গেল, তাদের সিদ্ধান্ত মূল্যহীন। জনগনও তাদের গ্রহন করলনা, পাকিস্তানও অখন্ড থাকলনা, বাংলাদেশও স্বাধীন হল; শুধু শুধু জামায়াত মাঝখান থেকে ইতিহাসের অমোচনীয় কলংকের তিলক নিজের কপালে ধারন করল। এখন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধই আমাদের গৌরবোজ্জেল ইতিহাস। এ ইতিহাস কোনোদিনই মুছবেনা। আর ইতিহাস যতবার সামনে এসে দাঁড়াবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম- স্বাধীনতার বিরোধীতার জন্য জামায়াতকে ততবারই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।এখনও দেশের ৯০ শতাংশ বা তারও বেশী মানুষ জামায়াতের অবস্থানকে ভুল বলেই মনে করে । এরপরও কি তারা এই ভুল সংশোধনের উদ্যোগ নেবেনা? নাকি ইতিহাসের কলংক মাথায় নিয়ে, মানুষের বিপরীতে রাজনীতি করতেই থাকবে ?
সবশেষে আবারো বলতে চাই, জামায়াতের এই একটি ভুল সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশের মাটিতে ইসলামী আন্দোলনের সাফল্যের সম্ভাবনাকেই বিপন্ন করে দিয়েছে। এর জন্য বর্তমান প্রজন্মের ইসলামী আন্দোলনের নিরপরাধ কর্মীরাও প্রচন্ড রকম বাধা-বিপত্তির সম্মুক্ষীন হচ্ছেন। নেতাদের অবিচক্ষণতা ও অদূরদর্শীতার এই চরম দায় কেন পরবর্তী কালের সেই তরুন মাথায় নেবে, যে স্বাধীন বাংলাদেশকে ভালোবেসে ইসলামী আন্দোলন সফল করতে চায় ? যারা কাদের সিদ্দিকীকে দিয়ে সত্য-মিথ্যা বা সঠিক-ভুলের বিচার করতে চান, আমি তাদের দলে নই।হাজার হাজার কাদের সিদ্দিকী না চাইলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হতই।তাদের সিদ্ধান্ত আল্লাহর সিদ্ধান্তকে পরিবর্তিত করতে পারতনা। কারন অখন্ড পাকিস্তান ভেঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মই আল্লাহর সিদ্ধান্ত ছিল। জামায়াত নেতৃত্ব আল্লাহর সিদ্ধান্ত এবং ইতিহাসের সম্ভাব্য মোড় পরিবর্তন কোনোটিকেই বুঝতে পারেনি, এটাই হল মূল কথা।কারন জুলুম দিয়ে কোনো জাতিকে দমিয়ে রাখা যায় না।আর জালিমের সমর্থকরা যত ভালো আদর্শের কথাই বলুক না কেন, তা দুর্বল হতে বাধ্য।
সোর্সঃ বিডিটুডে ব্লগ, ১৬ মে, ২০১৫
via blog a du kalam likhlei buddhijibi mne hay nijeke na. Amrao jukti proman die proman karte pari jamat thiki silo. eta akhon shibir kori ble bolsi na jakhon satro lig silam takgono boltam.
ভারতীয় ওয়াশ করা মস্তিষ্ক দিয়ে জামায়াত ও গোলাম আজমকে বিশ্লেষন করলে ভূলই ধরা পড়বে।গোলাম আজম কতটুকু দূরদর্শী নেতা নেতা ছিলেন আজ বাংলাদেশের প্রতিটি স্বাধিনতাকামী মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।বাংলাদেশ কি আজ স্বাধিন না ভারতের করদরাজ্যে।স্বাধিনতার ৪৩ বছর পরে এসে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকিও আপসোস করে বলেন এমন জানলে মুক্তিযুদ্ধই করতাম না।ভাই জামাতকে নিয়ে চিন্তা না করে কিভাবে দেশকে রক্ষা করা যায় সেই চিন্তা করেন।জামাতকে ছেড়ে দেন তাদের নেতৃত্বের হাতে।
ভাই , আপনার লেখাটিতে নিজের মনের কথা খুঁজে পেলাম I