শেখ হাসিনার বক্তব্যঃ
[শেখ হাসিনা বলেন ‘তাকে টেনে হিছড়ে যেভাবে আমাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। একটা ড্যাম পড়া ঘর। ইঁদুরে কাটা চাদর, ভাঙা খাট, ওর মধ্যে রেখে দেয়া হয়েছিলো। খাবার আসতো জেলখানা থেকে কোন কোন দিন ৩ বেজে যেতো, ৪টা বেজে যেতো। তারপর সেখান থেকে খাবার আসতো। বাইরে থেকে কিছু নিতে দিতে না। যতদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া গ্রেফতার না হয়েছেন ততদিন পর্যন্ত খাবার আসতো না।’ ‘আমাকে সলিটারি কনফাইনমেন্ট এ একা, কারাগারে কোন শাস্তিপ্রাপ্ত আসামীকেও এক সপ্তাহের বেশি সলিটারি কনফাইনমেন্ট এর রাখতে পারে না। আর এগারটা মাস আমি সেখানে। এমনকি ঈদের দিনেও আমার আত্মীয় স্বজন কাউকে দেখা করতে দিবে না।’]
দেখুন https://www.facebook.com/awamileague.1949/posts/457009414488922

এবার দেখুন তাকে ও খালেদা জিয়াকে জেলে দেখাশুনা করা ডিআইজি প্রিজন মেজর শামসুল হায়দার সিদ্দিকী (অব.) কি বলেন;
১। জেলখানায় লাউ, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি বাগান করার শখ ছিল শেখ হাসিনার। আমি (মেজর শামসুল) হাসতে হাসতে একদিন বলেছিলাম, ‘স্যার, গাছ লাগাবেন, ফল খেয়ে যাবেন না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জানি না কত দিন থাকতে হবে, তাই সবজি বাগান করছি। মনে হয় অনেক দিন থাকতে হবে।’
২। দুই নেত্রীর পারিবারিক বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ ও ডা. দীপু মনি, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান ও অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। কোনো বিশেষ বার্তা থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই দুই নেত্রীকে জানিয়ে দিতাম।
৩। শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরুর মাংস রান্না করতে চাইতেন। কিন্তু সাব-জেলে তা ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ কোনো অঘটন ঘটলে আমাকেই জবাবদিহি করতে হতো। জেলকোডের বিধিতেও তা ছিল না। তাই আমি আমার অপারগতার কথা বলি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা হাসিমুখে মেনে নেন। একটি কথাও আমাকে বলেননি।
পড়ুন পুরো সাক্ষাতকারটি http://www.bd-pratidin.com/first-page/2016/01/29/123718
শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার কারাগারের দিনগুলো নিয়ে একটি ভিডিও।যেখানে কাজ করতে যাওয়া ঠিকাদারেরা কিন্তু শেখ হাসিনার বর্ণনার ভিন্ন বর্ণনা দিচ্ছেন।তাদের মতে তার থাকার জন্য সকল ব্যবস্থাই ছিল সেখানে।আসবাবপত্র, ৪টি পত্রিকা, ৫ জন কারা রক্ষী……এরপরেও ওনার অভিযোগ কনফাইনমেন্ট সেলে নাকি ওনাকে রাখা হয়েছিল।
আমরা ওনার সাথে সহানুভুতিশীল যে ওনার হাজবেন্ডের সাথে “ভাল ব্যবহার” করা হয়নি বা ১১ মাস সেখানে থাকতে দেয়া হয়নি তার সাথে।ইনফ্যাক্ট ওইটা জেল ছিল, হানিমুন না, আমরা যাতে ভুলে না যাই। কিন্তু ১১ মাসের বাহিরের সময়ও যে তিনি হাজবেন্ডের সাথে ভাল ব্যবহার করেছেন বা একত্রে থেকেছেন সেই ব্যাপারে জাতির প্রশ্ন আছে।
এরপর আসা যাক, এক এগারোর সরকারের সাথে তার হানিমুনের চিত্র সম্পর্কে জানা যাক। তিনি বলেছিলেন ক্ষমতায় গেলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল কাজের বৈধতা দেব। প্রমাণ দেখুন ২টি পত্রিকার কাটিং থেকে।
ক্ষমতায় গেলে বর্তমান সরকারের সব কাজের বৈধতা দেবঃ হাসিনা, ১৬ মার্চ, ২০০৭, আমার দেশ

If Voted to Power, Awami League Legitimise Care Taker activities, The Daily Star, 16.03.2007

অথচ কয়েকদিন আগে আশরাফ সাহেব বললেনঃ “১/১১ সরকারকে এক ইঞ্চিও ছাড় দেইনি”
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এক-এগার সরকারকে আমরা এক ইঞ্চিও ছাড় দেইনি। আমরা তথাকথিত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসিনি। আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল। লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাকে জেল থেকে বের করে আনবো, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করবো এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করবো।

আসলে উনারা এক ইঞ্চি দেননি ঠিকই বলেছেন, পুরো ১৬ আনাই দিয়েছেন।আগা গোড়া মিথ্যাচারে অভ্যস্ত একটি দল আওয়ামীলীগ।৭২-৭৫, ৯৬-২০০১ সালে ফেইসবুক, ব্লগ ছিলনা।তাই মানুষকে যেভাবে বুঝিয়েছে সেভাবেই মানুষজন মেনে নিয়েছে।কিন্তু এখন তো সব ডিজিটাল দাদা ?!