বাংলাদেশিদের শুধু ঠেকাবো না ফেরতও পাঠাবো : মোদি, দৈনিক ইনকিলাব, ২৮ মার্চ, ২০১৬
আসামের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যথারীতি বাংলাদেশি অভিবাসী নিয়ে সরব হয়েছেন। গত শনিবার আসামের লখিমপুর জেলার নারায়ণপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে নতুন করে অভিবাসী আসা বন্ধ করতে যেমন তার সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে তেমনি আসামে থাকা অভিবাসীদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্যও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মোদি অভিযোগ করেছেন, আসামের কংগ্রেস সরকার সব সময়ই বাংলাদেশিদের চেয়েছে। তারা বাংলাদেশিদের জন্য সোনার প্লেট এগিয়ে দিয়েছেন অথচ আদিবাসী মানুষদের যেটুকু ছিল সেটিও কেড়ে নিয়েছেন। মোদির মতে, বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রতি কংগ্রেসের অফুরান ভালোবাসা রয়েছে। এদিন মোদি আসামের আরও দুই জায়গায় ভাষণ দেন।
আসামের সব জায়গায় সমান উন্নতি না হওয়ার জন্য তিনি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেছেন, কংগ্রেস সরকার এক জায়গার উন্নতি করলেও অন্য জায়গাকে অবহেলা করেছে। আসামের আগামী ভোটে বিজেপির জয় নিশ্চিত জানিয়ে তিনি বলেছেন, আসামের মানুষ ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। মোদি আরও বলেন, সারা দেশে সমস্ত অসুখের জন্য দায়ী কংগ্রেস। তাই একে হারাতেই হবে। এদিকে আসামের উন্নয়নের কথা ভেবেই শুধু নয়, আসামকে বাঁচানোর স্বার্থে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
তবে নির্বাচনী প্রচারে জেটলির মুখে শোনা গেছে মোদির ঠিক উল্টো কথা। জেটলি আশ্বাস দিয়েছেন, বিজেপি-অগপ জোট ক্ষমতায় এলেও বাঙালিদের ভয় নেই। তাদের নিরাপত্তার ভার নেবে বিজেপি। বিজেপি-অগপ জোট হওয়ায় বাংলাভাষীদের ঘর হারানোর আশঙ্কা দেখা দেবে কি না সেই প্রশ্নে জেটলি বলেন, এমন আশঙ্কাঅমূলক। আমরা বাংলাভাষীদের পূর্ণ সুরক্ষা দেব। আদতে কংগ্রেসের ভ্রান্ত ও স্বার্থসিদ্ধির নীতির কারণেই রাজ্যের জনবিন্যাসে বদল এসেছে।
আসামকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত রাজ্যের তালিকা থেকে বাদ দেয়া ও কেন্দ্রীয় সাহায্য কমানোর অভিযোগে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের জবাবে জেটলি বলেছেন, কোন রাজ্য কোন খাতে কত টাকা পাবে তা কেন্দ্র বা দল নয় পরিকল্পনা কমিশন ঠিক করে দেয়। তিনি জানান, ত্রয়োদশ কমিশনের আমলে রাজ্য পাঁচ বছরে মোট ৫৭ হাজার ৮৫৪ কোটি রুপি পেয়েছিল, সেখানে চতুর্দশ পরিকল্পনা কমিশনের আমলে তা ১৪৮ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৩৯ কোটি রুপি হবে। জেটলি জানান, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত রাজ্যগুলো বিভিন্ন প্রকল্পে ৯০ ও ১০ অনুপাতে কেন্দ্রীয় সাহায্য পায়। নীতি আয়োগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসাম ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো সিংহভাগ প্রকল্পে ওই হারেই কেন্দ্রীয় সাহায্য পেতে থাকবে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন গগৈ।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে পাখিও ঢুকতে দেয়া হবে না : বিজেপি সভাপতি, নয়া দিগন্ত ২৯ মার্চ ২০১৬
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ‘বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের গোটা দেশের সমস্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সোমবার অসমের ঢকুয়াখানা, নাওবচৈা, চতিয়া এবং ঢেকুয়াজুলিতে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভায় বক্তব্য দেন অমিত শাহ। বিকেলে ঢেকুয়াজুলিতে এক জনসভায় অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অমিত শাহ বলেন, ‘গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা শুধু অসমের নয়, গোটা দেশের সমস্যা।’
অমিত শাহ বলেন, ‘গত ১৫ বছরে কংগ্রেস সরকার যেসব সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, তা মাত্র ৫ বছরে করে দেখাবে বিজেপি সরকার। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এমন শক্তিশালী ভাবে সিল করা হবে একটা পাখিও ঢুকতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘রাজ্যে লাখ লাখ বেকার। তারা পড়াশোনা করেও কোনো কাজ পাচ্ছেন না। অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্যই এ রকম হয়েছে। ভোটের লালসায় কংগ্রেস অনুপ্রবেশকারীদের সংস্থাপনের ব্যবস্থা করে কিন্তু স্থানীয়দের নিয়োগে কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়না। এর ফলেই চাকরি পান না বেকাররা।’
অমিত শাহ বলেন, ‘আমি কংগ্রেস সভানেত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধের কথা ঘোষণা করতে। কিন্তু উনি তা বলবেন না। কারণ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে কংগ্রেস।’ অসমে কংগ্রেস সরকার স্রেফ একটা কাজেই সফলতা দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করে অমিত শাহ বলেন, ‘ভোটের স্বার্থে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চারণভূমি হয়েছে অসম।’ ‘ভোট ব্যাংক গড়ার তাগিদে অনুপ্রবেশে মদদ দিয়ে তরুণ গগৈ সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিপদাপন্ন করে তুলেছে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে- রাজনাথ সিং, মানবজমিন ডেস্ক , ৩০ মার্চ ২০১৬
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে ভারতে ক্ষমতাসীন এনডিএ সরকার। এর মাধ্যমে সেখানে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে। এ কথা বলেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি আজ আসামে এক নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির দিন থেকেই ভারতে অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। আসামে বিধানসভা নির্বাচন আগামী ৪ঠা ও ১১ই এপ্রিল। এ নিয়ে চলছে প্রচারণা। এ রাজ্যে এখন ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি। তিনি তাদের তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার দিন থেকেই ভারতে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশী এসব অনুপ্রবেশকারী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে। এর কারণ কি, কেন কংগ্রেস এসব অনুপ্রবেশকারীদের থামাতে পারে নি? কেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি সিল করে দেয়া হয় নি। ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার এ বিষয়ে কি করেছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক মাস আগে আমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সফর করেছি। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের কিছুটা সময় প্রয়োজন। তারপরই আমরা ভারত-বাংলাদেশী সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেব, যাতে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা আর ভারতে প্রবেশ করতে না পারে।
BJP LEADER DEMANDS BANGLADESH LAND FOR ‘INFLUX’, Daily Star, April 19, 2014
A senior leader of India’s Bharataiya Janata Party (BJP) has suggested Bangladesh should compensate India with land for what he said “the influx of its citizens” to the neighbouring country, The Times of India reports.
“If Bangladesh does not agree to take back its people, then the country should compensate by giving land to India,” Subramanian Swamy said at Guwahati yesterday.
“I am extremely distressed by the extent of illegal infiltration from Bangladesh. According to my estimate, one-third of Bangladesh’s population lives in India,” added the BJP leader.
Amit Shah Accuses Congress of ‘Secret Plan’ to Make Assam a Part of Bangladesh, thewire.in, 27/11/15
Playing the ‘Bangladeshis’ card against the Congress government of Tarun Gogoi in the run up to next year’s assembly elections in Assam, BJP president Amit Shah accused the Congress of hatching a “secret plan” along with the All India United Democratic front (AIUDF) to make the state a part of Bangladesh.
Shah alleged that the border between Assam and Bangladesh had been left unprotected and therefore migrants from Bangladesh entered into the state and that by entering into talks with the AIUDF, the Congress was signalling its intention to allow migration to continue unchecked.
ভারতকে বুঝা সিরিজের বাকী পোস্টগুলো;
ভারতে আমাদের তুলনায় অনেক শক্তিশালী ও বড়। তাই বিমাতা সুলভ আচরণ তাদের ঠিক নঢ