বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত আগে বলত তাঁদের অবদান আছে।আর এখন বলে তারাই বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে উপহার দিয়েছে।১৬ ই ডিসেম্বর ভারতও গতবছর থেকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করা শুরু করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি স্বাধীন দেশের সংজ্ঞা কি? সার্বভৌমত্ব কাকে বলে? বাংলাদেশ কি স্বাধীন, সার্বভৌম? ভারতকে জানা সিরিজের আগের লেখায় আমরা দেখেছি ভারত আসলে কি চায় বাংলাদেশে, আমরা দেখেছি বাংলাদেশ কিভাবে বাণিজ্যিক বাজারে পরিণত হয়েছে, এক চেটিয়া কিভাবে প্রায় সর্বক্ষেত্রে আধিপত্য ও নয়া উপনিবেশ কায়েম করেছে। একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্রের সীমানা থাকার মূল বক্তব্যই হল সীমানার বাহিরের কোন রাষ্ট্র তাঁর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেনা, আর এখান থেকেই সার্বভৌমত্ব ধারণার সৃষ্টি। জনগণের সাথে সাথে একটি দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে। এই বিষয় মনে রেখেই আমাদের সামগ্রিক নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য এই পোস্ট।
Bangladesh cannot be expected to be in perpetual gratitude to India for its military assistance for its liberation. By and large Bangladesh Armed Forces are anti Indian. Islamic fundamentalist influence is growing and will have an impact on the Army. It would be dangerous for India to under estimate the potential of the Bangladesh Armed Forces despite their limited size. The recent border incidents should be a wake up call for India. (১৯৭১ সালের ভারতের সামরিক সাহায্যের বিনিময়ে বাংলাদেশের কাছে চিরদিনের জন্য কৃতঞতা আশা করা যায় না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরাট অংশ ইন্ডিয়া বিরোধী। ইসলামী শক্তির প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যার প্রভাব সেনাবাহিনীতেও পড়বে। এতে আকারে ছোট হলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইন্ডিয়ার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ (পাদুয়াতে বিডিআর-বিএসএফ সংঘর্ষ, এপ্রিল, ২০০১)তারই আলামত দিচ্ছে এবং ইন্ডিয়াকে এখনই জেগে উটতে হবে) (Dr. Subhash Kapila, BANGLADESH ARMED FORCES AND ISLAMIC FUNDAMENTALISM, 02.05.2001, South Asia Analysis group).
এই ছিল ২০০১ সালে ভারতীয়দের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সেনাবাহিনী সম্পর্কে। এরপর ২০০৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব জয় হার্ভাড ইন্টারন্যাশনাল রিভিউতে লিখেছেন, Before this madrassa Entrance Exam campaign, only 5 percent of military recruits came from madrasses in 2001. By 2006, at the end of the BNP’s reign, madrassas supplied nearly 35 percent of the Army recruits (গত ২০০১ সালের শেষে মাদ্রাসা থেকে মাত্র ৫ শতাংশ ছাত্র সেনাবাহিনীতে চান্স পেত সেখানে ২০০৬ সালে এটা বেড়ে হয়েছে ৩৫%)। সেনাবাহিনীতে ইসলামপন্থীদের বৃদ্ধির এই হার তার মতে অত্যন্ত্ উদ্দেগজনক। (Stemming the Rise of Islamic Extremism in Bangladesh, Harvard International Review,
,এরপর ঘটে গেল বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা।বাংলাদেশে ভারতের সেনাপ্রধানের আগমন ও কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা জানতে পড়ুন; বাংলাদেশে ভারতের সেনাপ্রধান।
ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিজয় কুমার সিংয়ের ২২ জুন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীতে (বিএমএ) ক্যাডেটদের সেনা কর্মকর্তা হিসেবে ‘পাসিং আউট’ প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করার কথা রয়েছে। হান্নান শাহ এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, একজন বিদেশি সেনাপ্রধানকে দিয়ে পাসিং আউট প্যারেড পরিদর্শন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো হয়নি।
বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী আলোচনা সভায় বলেন, ‘পাকিস্তান বা ভারতে অন্য দেশের সেনাপ্রধান পাসিং আউট প্যারেডে রিভিউইং অফিসার হিসেবে বিদায়ী ক্যাডেটদের সালাম নিয়েছেন, আমরা চাকরিজীবনের ৩৫ বছরে এমনটা কখনোই দেখিনি।’
- India not ‘Enemy’ in Bangla Wargames, The New Indian Express, 10th February 2014
The Bangladesh Army for the first time had a break from formulating its training around India as a threat. Its officers recently undertook war games, which did not assume its border with India as the warfront.
“If all your doctrines and war postures are aimed at India, it does create a psychological barrier on how the neighbour is viewed,” said a senior government official. Bangladesh military plans for defensive manoeuvre, where the troops fall back to the next line of defence and keep on delaying an invading army.It was naturally a sensitive subject, which requires a change in mindset. During a bilateral visit in 2012, the Indian Army chief had broached the subject to his Bangladeshi counterpart. “We had requested them to mark international boundary for war games inside their borders and change the force levels so that they don’t coincide with that of India’s,” he said.
- নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রতিবেদন : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রণকৌশলে ভারত এখন আর ‘শত্রু’রাষ্ট্র নয়, আমার দেশ, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো তার প্রশিক্ষণে পরিবর্তন এনেছে। সেনাবাহিনী মনে করছে, এখন ভারত আর কোনো হুমকি নয়। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যে যুদ্ধখেলায় (ওয়ারগেম) অংশ নিয়েছেন তাতে ভারত সীমান্তকে হুমকি (ওয়ারফ্রন্ট) বলে বিবেচনা করা হয়নি।গত সোমবার দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
‘ইন্ডিয়া নট এনিমি ইন বাংলা ওয়ারগেম’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনদিক থেকে ঘিরে রাখা ভারতকে হুমকি বলে মনে করতো বাংলাদেশ। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে বাংলাদেশের সামরিক প্রশিক্ষণে তাই ভারতের (হুমকির বিষয়টি) মাথায় থাকা অস্বাভাবিক নয়।
যুদ্ধখেলা সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এতে তাদের যুদ্ধের মতবাদ (ডকট্রিন) এবং কৌশল শেখানো হয়। যুদ্ধ খেলায় শত্রুর নাম প্রকাশ করা হয় না। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্তের অবস্থান এবং সামরিক বাহিনীর সংখ্যার (ফোর্স লেভেল) ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয় প্রতিপক্ষ কে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছে। তাই এই যুদ্ধ খেলায় ভারতকে নিশানা করার নীতিতে সংশোধন ভারতের একটি অন্যতম লক্ষ্য।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা (ভারতের) বলেন, ‘আপনার সব মতবাদ (ডকট্রিন) এবং যুদ্ধের হালচাল যদি ভারতকে লক্ষ্য করে হয়, তবে তা প্রতিবেশীকে কিভাবে দেখা হয় তার ওপরে একটি মনস্তাত্ত্বিক বাধা তৈরি করে।’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন আত্মরক্ষামূলক কৌশল নিচ্ছে। ফলে এখন সৈন্যদের আগ্রাসী সেনাবাহিনীকে মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এটা স্বভাবতই একটি স্পর্শকাতর ইস্যু যেটার জন্য দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে বাংলাদেশে দ্বিপাক্ষিক সফরকালে ভারতের সেনাপ্রধান তার বাংলাদেশের কাউন্টারপার্টকে (সেনাপ্রধানকে) এই অনুরোধ করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা তাদের (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে) যুদ্ধ খেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের পরিবর্তে তাদের নিজেদের সীমান্তকে নির্ধারণ করতে বলেছি এবং সৈন্য সংখ্যায় পরিবর্তন আনতে বলেছি, যাতে কাকতালীয়ভাবে তা ভারতকে লক্ষ্যবস্তু না বানায়।’ এই আহ্বানের দু’বছর পর প্রতিরক্ষা বিভাগের নেতৃত্ব এবং স্টাফ কলেজ, যারা নির্বাচিত ঊর্ধ্বতন নেতাদের প্রশিক্ষণ দেয়, এই পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী গঠনের পর এই প্রথম এ ঘটনা ঘটলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশে সর্বশেষ যুদ্ধখেলা শুরু হয়েছিল ২৩ জানুয়ারি, ২০১৪ এবং তা চলে প্রায় এক সপ্তাহ। জানা গেছে, এবার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তকে ‘শত্রু’ বিবেচনা করা হয়নি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা নিজেদের সীমান্তের নকশার ওপর যুদ্ধ খেলায় অংশ নেয় এবং সৈন্য সংখ্যাও অপরিবর্তিত রাখা হয়।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের নতুন সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভুঁইয়া প্রথম পরবর্তী প্রজন্মের নেতা, যার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো ‘জৈবিক’ সম্পর্ক নেই। শেখ হাসিনার নতজানু সরকার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বর্তমান সময়কে সবচেয়ে উত্তম মুহূর্ত বলে মনে করা করা হচ্ছে। অন্য একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী, এখন সোনালি সময় পার করছি আমরা।’
- বিজিবিকে প্রশিক্ষণ দেবে বিএসএফ– সাংবাদিক সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক, ইত্তেফাক, ২৬ আগস্ট ২০১৪
সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) প্রশিক্ষণ দেবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। সম্প্রতি ভারতে শেষ হওয়া উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাজধানীর পিলখানায় নিজের দপ্তরে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বিজিবিকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রস্তাব করেছিল বিএসএফ। বিজিবি সেটিতে সম্মত হয়েছে। বিএসএফ চার ধরনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে। এগুলোর মধ্যে আছে— জুনিয়র কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, সিনিয়র কর্মকর্তাদের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ, বোমা শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণ প্রশিক্ষণ এবং শিকারি কুকুরের ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ।
এই যখন আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবস্থা, এখন দেখা যাক বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয় গোয়েন্দাদের কার্যক্রম নিয়ে।
রিসার্চ অণ্ড এনালাইসিস উইংস ( ‘র’ ) ভারতের পররাষ্ট্র নীতির নির্ধারক এবং বহির্বিশ্বে ভারতের প্রভাব তৈরি করা, অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য সব ধরনের কাজই করে এই সংস্থাটি। রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সংকৃতিক, ধর্মীয়, শিক্ষা খাত, মিডিয়া, এনজিও এবং ব্যবসায় সংগঠনের নেতা পর্যন্ত এরা রিক্রুট করে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে লোক নিয়োগ দিয়ে শীর্ষ পর্যায়ে পৌছে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, অর্থ, এবং অন্যান্য সহায়তা অব্যাহত রাখে। এভাবেই এরা দেশের ভেতরে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করে। দেশের অভ্যন্তরীণ আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করে প্রশাসন কে চাপে রাখা এদের পরিকল্পনার অন্যতম একটা দিক। র্যাব এর তত্পরতায় এরকম অনেক কিছুই নষ্ট হয়। ফলে র্যাব তাদের মাথা ব্যথার কারণ হতেই পারে। (র্যাব কি তাহলে ভারতীয় ‘র’ এর মাথা ব্যাথা!, শাহরিয়ান আহমেদ, বিডি নিউজ ২৪ ব্লগ, ০৬জুলাই ২০১২)।
কি করছে ‘র’ বাংলাদেশে?
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান আবু রুশদের লেখা বাংলাদেশে ‘র’ ” নামক বই থেকে কিছু অংশ;
…..সংখ্যালঘু নির্যাতনের কল্পকাহিনী ও বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে চিহ্নিতকরণ— ‘র’-এর প্ররোচনায় বিজেপি শুধুমাত্র স্বাধীন বঙ্গভূমি আন্দোলন ও মোহাজির সংঘ তৈরী করেই ক্ষান্ত হয়নি, যাবতীয় উপায়ে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটি উগ্র হিন্দু বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করাই ‘র’ এর অন্যতম লক্ষ্য। ভারতে অব্যাহত মুসলমান নির্যাতন, সংখ্যালঘু বিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য মূলত ‘র’ এই পথে অগ্রসর হয়। ………লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ‘৯০ সালে ভারতে বাবরী মসজিদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা সংঘটিত হওয়ার পর থেকেই ‘বাংলাদেশের হিন্দুরা নিরাপদে নেই’ এ ধরণের প্রচারণা জোরদার করা হয়। এরকম একটি প্রচারণা চালিয়েছিলো ‘বঙ্গভূমি আন্দোলন’র নেতা ও ভারত সেবা আশ্রম সংঘের অধ্যক্ষ বিজয়া নন্দজী মহারাজ। (‘বঙ্গভূমি আন্দোলন’ হচ্ছে উগ্রহিন্দুদের একটি আন্দোলন, যারা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে একটি পৃথক হিন্দুরাষ্ট্র গঠন করতে চায়)। …. (পৃষ্ঠা: ১৬৬)
…..“বাংলাদেশে যেসব হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশ বিরোধী অপতৎপরতা চালাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে- বালাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি, প্রণব মঠ ও সেবাশ্রম, বাংলাদেশ সন্ত মহামণ্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশন, বিশ্ব ধর্ম ও শান্তি সম্মেলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ চৈতন্য সংস্কৃতিক সংঘ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, ইত্যাদি। এ সব সংগঠন আবার নিয়মিত পত্রিকা বের করে। …….বাংলাদেশের ঐসব সংগঠন মূলতঃ ভারতের সাম্প্রদায়িক সংগঠনের শাখা হিসেবে কাজ করছে। আর এই কাজের সমন্বয় সাধণ করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, অর্থাৎ ভারেতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের ঐসব সংগঠনের কভাবে তৎপরতা চালায়। কত সুচতুরভাবে যে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে তা খতিয়ে দেখলে সবাই বিস্মিত হয়ে যাবেন। বাইরে মনে হবে, তারা নিছক হিন্দু ধর্মীয় তৎপরতা চালাচ্ছে। আসলে তারা হিন্দু ধর্মীয় তৎপরতার নামে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনাটিই কার্যকর করছে।……..এছাড়া ‘ইসকন’ নামে একটি সংগঠন বাংলাদেশে কাজ করছে। এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। মূলতঃ এটা ইহুদীদের একটি সংগঠন বলে জানা গেছে। এই সংগঠনের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি।”…. (পৃষ্ঠা: ১৭০, ১৭১)
‘র’-এর সাফল্য
ভারতীয় নাগরিক জয়শ্রী বাজোরিয়া ইন্টারনেটে লিখিত নিবন্ধে ‘র’-এর সাফল্য সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে (১) বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তাদের ভূমিকা (২) আফগানিস্তানে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার (৩) ১৯৭৫ সালে সিকিমের ভারতভুক্তি এবং (৪) ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচির নিরাপত্তা বিধান। এই নিবন্ধটি ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘হলিডের’ চলতি মাসের ২ তারিখে ছাপা হয়েছে। (বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২)।
- প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে ‘র’, বাংলামেইল২৪ডটকম, ০৯ এপ্রিল ২০১৬
কোন আওয়াজ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। আর এতে করে প্রধানমন্ত্রীর পায়ের নিচ থেকে আস্তে আস্তে মাটি সরে যাচ্ছে, অথচ সেটা উনি জানতেও পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির দাবিতে নাগরিক ছাত্র ঐক্য ও নাগরিক যুব ঐক্য যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বাকশাল সরকারের কাছে কখনো (জনতার) আওয়াজ পৌঁছাবে না। পথের (জনতার) আওয়াজ কোনটা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাবে, না যাবে- সেটি কোনো বাংলাদেশি গোয়েন্দা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে না। ডিজিএফআই, এনএসআই, পুলিশ সেটা (নিয়ন্ত্রণ) করে না। এটার জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ আছে। ‘র’ স্থির করে কোন খবর যাবে, কোথায় যাবে, কাকে জানাতে হবে? এটির মজা হলো, প্রধানমন্ত্রীর পায়ের নিচ থেকে আস্তে আস্তে মাটি সরে যাচ্ছে, অথচ সেটা উনি জানতেও পারেন না।’
- বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক– ‘র’-এর পর ‘এম.আই’ কাজ শুরু করেছে, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২
জাসদের একাংশের নেতা আ স ম আবদুর রব অতীতে একাধিকবার বলেছেন যে, বাংলাদেশে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানলিসিস উইং’, অর্থাৎ ‘র’-এর বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। তিনি কোনো রাখঢাক না করে বলেছিলেন যে, বাংলাদেশে ‘র’-এর ৬০ হাজার এজেন্ট বা গুপ্তচর রয়েছে। ‘র’ সম্পর্কে এই কথা জনাব রব একবার নয়, একাধিকবার বলেছেন। বাংলাদেশে অবস্তানরত ভারতীয় গুপ্তচরদের সংখ্যা ৬০ হাজার? নাকি তার চেয়ে বেশি? নাকি তার চেয়ে কম?
কয়েকদিন আগে প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন যে, বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিস আছে বলে শুনেছি। তারা নাকি উন্নততর তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করে।
কিন্তু গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের বহুল প্রচারিত পত্রিকা ‘ইন্ডিয়া টুডে’তে ব্যর্থ অভ্যুত্থান সম্পর্কে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তারপর বাংলাদেশে ‘র’-এর কর্মতৎপরতা সম্পর্কে আর কারো সন্দেহ থাকে না। চার পৃষ্ঠাজুড়ে প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়া টুডে’র এই এক্সক্লুসিভ সংবাদটির শিরোনাম Dhaka Conspiracy, অর্থাৎ ঢাকা ষড়যন্ত্র। যেখানে বলা হয়;
“গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে নয়াদিল্লি থেকে ঢাকায় একটি গোপন চিঠি যায়। এটি বাংলাদেশের ৬৫ বছর বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সরাসরি হস্তান্তর করা হয়। চিঠিতে তাকে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অবস্থানরত ইসলামী মৌলবাদীরা একটি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করছে। এই চিঠির সাথে ভারত প্রধানমন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকে উদ্ধারের একটি পরিকল্পনা পেশ করে। তার সাথে একটি সামরিক পরিকল্পনাও ছিল। পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরার ভারতীয় বিমান ঘাটি থেকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জঙ্গি হেলিকপ্টার ঢাকায় উড়ে যাবে এবং এই সামরিক অভিযানকে এয়ার সাপোর্ট দেবে। এই বিমান করিডোরের জন্য রাজধানীর আশপাশে অবতরণ স্থান এবং উদ্ধার স্থানও নির্ধারণ করা হয়।
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই শেখ হাসিনা হুমকির মুখে আছেন। বাংলাদেশ রাইফেলসের ১ হাজারেরও বেশি সদস্য তাদের প্রতিষ্ঠানের ওপর সামরিক বাহিনীর আধিপত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এই বিডিআরের নাম পরিবর্তন করে এখন রাখা হয়েছে ‘বর্ডার গার্ড’। এটা আসলে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অসন্তোষের একটি প্রতিফল ছিল। তখনও ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে প্রকাশ, বিদ্রোহ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই যে কোনো রকম জরুরি পরিস্তিতি মোকাবেলার উদ্দেশ্যে ঢাকা উড়ে যাওয়ার জন্য ভারত তার ৫০ প্যারাস্যুট বিশেষ ব্রিগেডকে প্রস্তুত রাখে। হাসিনার প্রতি ভারতের সমর্থন পরিষ্কার। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর তৃতীয় মেয়াদে (আসলে এটি হবে দ্বিতীয় মেয়াদ) ভারতের ঐসব জঙ্গিদের দিন শেষ হয়ে গেছে যারা বাংলাদেশে অবস্থান করে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী তৎপরতা চালাবে।”
সংবাদটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর, তাতে সন্দেহ নেই।কিন্তু এতবড় একটি খবরের উৎপত্তি ঢাকা থেকে হয় কিভাবে? একটু গভীরভাবে ভাবার পরেই ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে গেল। দুটি উপায়ে ঢাকায় বসে এই খবরটি পাওয়া যেতে পারে। একটি হলো, পত্রিকাটির ঢাকা অফিসকে দিল্লির প্রধানমন্ত্রী অফিস বা গোয়েন্দা সংস্থার অফিস থেকে ইন্টারনেটে বা টেলিফোনে খবরটি জানানো হয়েছিল। আরেকটি হতে পারে, ঢাকায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার শক্তিশালী অফিস রয়েছে, সেটা যে নামেই হোক বা যেরূপেই হোক না কেন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেড অফিস থেকে তাদের ঢাকা অফিসকে খবরটি দেয়া হয়েছে। এই পথে এবং প্রক্রিয়াতে খবরটি ঢাকায় এসেছে। ঢাকার নেটওয়ার্ক কতখানি শক্তিশালী হলে এমন স্পর্শকাতর ও মারাত্মক খবর পাঠানো হয় সেটা সম্মানিত পাঠকবৃন্দ নিজ বুদ্ধি বিবেচনায় এখন বুঝে নিন।
- Dhaka Conspiracy, India Today, January 28, 2012
In late December last year, a secret letter went from New Delhi to Dhaka. It was delivered directly to Sheikh Hasina, 65, the prime minister of Bangladesh. It warned her that Islamist radicals embedded within the Bangladesh Army were planning a coup.
Along with the letter, India had worked out a contingency plan to evacuate the prime minister, her cabinet and key figures of her Awami League party in the event of a coup. There was a military plan as well. Indian helicopter gunships would be launched from two airbases in West Bengal and Tripura into Dhaka to provide air cover for the operation. Landing zones and evacuation sites were identified in and around the capital for the air corridor.
এই রিপোর্টে ২০১২ সালে তথাকথিত ‘সামরিক অভ্যুত্থান’ দমনের নামে বিডিআর বিদ্রোহের পর দ্বিতীয় দফা ভারত বিরোধী, দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী চেতনার যত বড় বড় অফিসার ছিল,যাদেরকে ভারত সম্ভাব্য থ্রেট মনে করেছে, প্রায় সবাইকে ক্লিঞ্জিং করেছে।আর যদি কিছু অফিসার থেকেও থাকে এই দমনের মাধ্যমে তাঁদেরকে সিগনাল দিয়ে দেয়া হয়েছে।
‘র’ এখন নির্ধিদায় বাংলাদেশে শুধু গোপন অপারেশনই চালায় না বরং তারা যাদেরকে শত্রু মনে করে তাঁদেরকে বাংলাদেশ থেকে তুলে নিয়েও যায়।
- ‘র’-এর হাতে আইএসআই’র চর আটক, জানেন না স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী: ব্যাখ্যা চাইল বিএনপি, রেডিও তেহরান, 16 এপ্রিল 2014
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা ‘র’-এর হাতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের চর আটকের বিষয়ে কিছু জানেন না স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ (বুধবার) সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমি এখনো বিষয়টি জানি না। পত্র-পত্রিকায় পড়েছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।”
বাংলাদেশ থেকে আসামী নিয়ে যাওয়ার এমন এখতিয়ার র-এর আছে কি না, জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “তাদের সঙ্গে আমাদের বন্দিবিনিময় চুক্তি আছে। কিন্তু এমন কোনো এখতিয়ার তাদের নেই।”
এদিকে, ‘র’-এর হাতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সদস্য আটকের বিষয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ঢাকা থেকে জিয়াউর রহমান ওরফে ওয়াক্কাস নামে একজনকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। ‘র’ দাবি করেছে, ওই লোক বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা ইন্ডিয়ান মুজাহিদ (আইএম)-এর কর্মী। পত্রিকাটি জানায়, এরপর ‘র’ কোনো প্রমাণ না রেখেই তাকে ভারতে নিয়ে যায়। তবে কিভাবে তারা কাজটি করল তা পত্রিকাটি জানায়নি।
একই খবর প্রকাশিত হয় মানবজমিনে- ‘আইএসআই’র চর আটকের খবর জানি না’, মানবজমিন, ২০১৪-০৪-১৭
বাংলাদেশের রাজনীতিকরা এখন কোন ধরনের রাখ ঢাক না রেখেই ভারত বিরোধীদের বাংলাদেশের শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
- ‘যারা ভারতের শত্রু, তারা বাংলাদেশেরও শত্রু’-শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, যুগান্তর, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতির সঙ্গে ভারতের অগ্রগতি জড়িত। যারা স্বাধীনতার শত্রু, যারা ভারতের শত্রু, তারা বাংলাদেশেরও শত্রু।ভারত এবং বাংলাদেশ মিলিতভাবেই এ দেশের সৃষ্টি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
- ভারত বিরোধীদের বাংলার মাটিতে ঠাঁই নেই: সুরঞ্জিত, যুগান্তর, ০৫ জুন ২০১৫
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে ভারত বিরোধীদের কোনো ঠাঁই নেই।শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।ভারতের সরকার ও জনগণকে সাধুবাদ জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৭১ সালের সম্পর্কে যেতে চাইছে। এ সম্পর্ক উভয় দেশের স্বার্থের, সম্মানের।
- একই রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছি : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, এন টিভি, ০৬ জুন ২০১৫, মানবজমিন ৬.৬.১৫
বাংলাদেশের ‘পার্শ্ববর্তী দেশ’, ‘বন্ধু রাষ্ট্রগুলো’ সবাই একই রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভাইয়ে ভাইয়ে একে অপরের বিপদে আপদে সহযোগী হিসেবে কাজ করব।’ আজ শনিবার রাজধানীতে ভারতের দুটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে পার্শ্ববর্তী দেশ, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো তাদের সঙ্গে গত ৪০ বছরে যে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে একটা সীমানা রেখা ছিল। আমি মনে করি, ধীরে ধীরে সেটাও আজকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। আমরা এখন সবাই একই রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছি। আমরা সবাই পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভাইয়ে ভাইয়ে একে অপরের বিপদে আপদে সহযোগী হিসেবে কাজ করব। এই প্রতিজ্ঞাই কিন্তু সার্ক রাষ্ট্রগুলোর ধারণা এবং সেই প্রতিজ্ঞাকে ঘিরেই আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে যাচ্ছি।’
সিভিল সোসাইটির কি অবস্থা?
৩১ আগস্ট ২০০৭ সালে দৈনিক ইত্তেফাক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে যেখানে বলা হয়; শাহরিয়ার কবির এবং তাঁর ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটিকে ‘র’ ফান্ড করে আসছে ১৯৯৮ সাল থেকে।
বাংলাদেশ কি স্বাধীন রাষ্ট্র? নাকি ভাসমান রাষ্ট (vassal state)?
ভারতকে বুঝা সিরিজের বাকী পোস্টগুলো;
‘যারা ভারতের শত্রু, তারা বাংলাদেশেরও শত্রু’
বাংলাদেশ ভারতের বাণিজ্যিক বাজার
‘অখণ্ড ভারত’ স্বপ্ন ও ‘ভারতীয় গুপ্তচর’ বৃত্তি
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও ভারতের বৈদেশিক নীতি
বিজেপির বাংলাদেশ বিরোধী রাজনীতি
‘বাংলাদেশিদের সঙ্গে শত্রুর মতো আচরণ করছে ভারত’
হায়দ্রাবাদ থেকে সিকিম হয়ে বাংলাদেশ:নেহেরু ডকট্রিন ও আজকের বাস্তবতা